ছবি: সংগৃহীত।
আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই জ্বলে উঠল বিরাট কোহলির ব্যাট। ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বিরুদ্ধে মাত্র ৩৬ বলে অপরাজিত ৫৯ রান করেন তিনি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ব্যাটিং স্তম্ভ কিং কোহলি এ বারের টুর্নামেন্টে পাচ্ছেন ২১ কোটি টাকা। গত বছরের থেকে ৪০ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়েছে তাঁর।
আইপিএল থেকে এ-হেন বিপুল রোজগারের কারণে কত টাকা আয়কর দেবেন কোহলি? নতুন আর্থিক বছর (পড়ুন ২০২৫-’২৫) শুরু হওয়ার আগে এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। আরসিবির বেতনভোগী কর্মী নন বিরাট। চুক্তির ভিত্তিতে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন তিনি। আর তাই আয়কর আইনের ২৮ নম্বর ধারা মেনে ‘ব্যবসা এবং পেশা’ শ্রেণিতে হবে তাঁর করের হিসাব।
বর্তমানে দেশে দু’টি কর কাঠামো চালু রয়েছে। একটি নতুন এবং অপরটি পুরনো কর ব্যবস্থা। আয়কর দেওয়ার ক্ষেত্রে কিং কোহলি যে কোনও একটি বেছে নিতে পারেন। নতুন কাঠামোয় বিরাট সর্বোচ্চ আয়কর স্ল্যাবের আওতায় পড়ছেন। অর্থাৎ আইপিএল থেকে আয়ের উপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে তাঁকে।
নতুন কর ব্যবস্থায় মোট ছ’টি স্ল্যাব রয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ স্ল্যাবটিতে বলা হয়েছে, বার্ষিক ১৫ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে ৩০ শতাংশ কর নেবে সরকার। সেই হিসাবে ২১ কোটির ক্ষেত্রে বিরাট দেবেন ৬.৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া ৫ কোটি টাকার বেশি আয়ের কারণে তাঁর উপর প্রযোজ্য হবে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত সার চার্জ।
পাশাপাশি স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা সেস সংক্রান্ত আরও কিছু টাকা কাটা যাবে বিরাটের আইপিএলের চুক্তি থেকে। সব মিলিয়ে আনুমানিক ৮.১৯ কোটি টাকা আয়কর দফতরে জমা করবেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। অর্থাৎ ১২.৮১ কোটি টাকা ঘরে নিয়ে ফিরবেন তিনি।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে আয়কর সংক্রান্ত একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে মাত্র। এটি বিরাট কোহলির আয়করের পূর্ণ তথ্য নয়।)