Gautam Adani

সমস্যা বাড়ছে আদানির, শেয়ার বিক্রি নিয়ে তদন্ত

এমএসসিআই জানিয়েছে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস-সহ চার সংস্থার শেয়ারের গুরুত্ব কমবে তাদের সূচকে। কারণ, সহজে সেগুলির লেনদেন করা (ফ্রি ফ্লোট) নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:১৫
A photograph of Gautam Adani

শুক্রবার আদানি গোষ্ঠীর ১০টি সংস্থার মধ্যে ৮টিরই দর পড়েছে। ফাইল ছবি।

ফের ধাক্কা খেল আদানি গোষ্ঠী। এ বার শেয়ার সূচক প্রস্তুতকারী আমেরিকার এমএসসিআই এবং মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ়-এর থেকে। আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তোলা দুর্নীতির অভিযোগ ও তার জেরে তাদের শেয়ারে ধস নামার ঘটনা খতিয়ে দেখে নিজেদের সূচকে আদানিদের চার সংস্থার গুরুত্ব (ওয়েটেজ) কমাল এমএসসিআই। প্রায় একই কারণে চারটি সংস্থার মূল্যায়ন (রেটিং) ছেঁটেছে মুডি’জ়। ফলে শুক্রবার আদানিদের বেশিরভাগ সংস্থার শেয়ার দর পড়েছে। তার উপরসূত্রের খবর, বাজার থেকে টাকা তুলতে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস সম্প্রতি শেয়ারবিক্রির যে প্রক্রিয়া চালিয়েছিল তাতে অনিয়মের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তদন্তে নেমেছে সেবি। সূত্রের খবর, আদানি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে অবহিত করেছে কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক ও তারা সেবির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।

আদানিরা ২০,০০০ কোটি টাকা তোলে শেয়ার বেচে। যদিও পরে সেই শেয়ার আচমকাই তুলে নেন কর্ণধার গৌতম আদানি। বলেন, লগ্নিকারীদের টাকা ফেরাবেন। তবে সূত্রের দাবি, শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া কিছু লগ্নিকারীর সঙ্গে আদানি ও তাঁর সংস্থার সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ। তাদের একাংশ মূল লগ্নিকারী (অ্যাঙ্কর ইনভেস্টর) হিসেবে বড় অঙ্কের অর্থঢেলেছে, যা আইন বিরোধী বা স্বার্থের সংঘাত বলে গণ্য হতে পারে। অন্যগুলি বিক্রির প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছে। সেবির আইনে শেয়ার ছেড়েটাকা তুলতে নামা সংস্থা বা তার প্রোমোটারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কেউ মূল লগ্নিকারী হতে পারে না বা পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারে না।

Advertisement

এ দিন আদানি গোষ্ঠীর ১০টি সংস্থার মধ্যে ৮টিরই দর পড়েছে। শেয়ার সম্পদ কমেছে প্রায় ৩.৩%। এইচডিএফসি সিকিউরিটিজ়ের কর্তা দীপক জাসানি জানান, ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের পরে গোষ্ঠী ৫১% শেয়ার সম্পদ খুইয়েছে। আশঙ্কা রয়েছে আরও কমার।

এমএসসিআই জানিয়েছে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস-সহ চার সংস্থার শেয়ারের গুরুত্ব কমবে তাদের সূচকে। কারণ, সহজে সেগুলির লেনদেন করা (ফ্রি ফ্লোট) নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ‘ফ্রি ফ্লোট’ বলতে বোঝায় কিছু যোগ্যতার ভিত্তিতে কোনও সংস্থার শেয়ার যখন সহজে কেনাবেচা যায়। এমএসসিআই-র পর্যালোচনা, ওই চারসংস্থারই সেই যোগ্যতা কমেছে। ফলে তীব্র অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তাদের লগ্নিকারীরা। এ দিন হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন বলেন, ‘‘এমএসসিআই-এর সিদ্ধান্ত আমাদের অনুসন্ধানকে বৈধতা দিয়েছে।’’

বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর দাবি, “এতে আদানিদের শেয়ারে আস্থাকমবে লগ্নিকারীদের। সেগুলির বিক্রিবাড়তে পারে। বিশেষত এমএসসিআই সূচকে সংস্থার গুরুত্বের ভিত্তিতে লগ্নি করেন যাঁরা। এতে আরও পড়বে শেয়ার তাদের দর।’’ আদানিদের চার সংস্থার রেটিং স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচকে নামিয়ে মুডি’জ়-এর বার্তা, ওই সব শেয়ার কেনা ঝুঁকির।

আরও পড়ুন
Advertisement