Aviation

Aviation fuel Price: ইউক্রেন যুদ্ধের জের, বিশ্ব বাজারে এক লক্ষ টাকা পেরিয়ে গেল বিমান জ্বালানির দাম!

দীর্ঘ দু’বছরের করোনাকালে যাত্রীর অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিমান শিল্প। ইন্ডিগোর সিইও রণজয় দত্ত-র দাবি, এমন অবস্থায় এ বছর জানুয়ারি থেকে ৫০% দামি হওয়া এটিএফ তাদের উপরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২২ ০৮:০৯
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠে দাঁড়ানোর আগেই হিসাবের খাতায় তেলের দামের কোপ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাজারে চড়া অশোধিত তেলের মাসুল যে এ ভাবে গুনতে হবে, ভাবেনি দেশের বিমান শিল্প। বুধবার এক লাফে তাদের জ্বালানি এটিএফের দাম বেড়েছে ১৮%। একসঙ্গে এতখানি বৃদ্ধি এই প্রথম। শুধু তা-ই নয়, এ নিয়ে একটানা ছ’বার দাম বৃদ্ধির কারণে তা এই প্রথম এক লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। নজিরবিহীন ভাবে কলকাতায় এক কিলোলিটার হয়েছে ১,১৪,৯৭৯.৭০ টাকা।

বিমান জ্বালানির এই ছবি কাঁপুনি ধরিয়েছে দেশে। বাজারে জল্পনা, অদূর ভবিষ্যতে কি এমন পরিণতি অপেক্ষা করে আছে পেট্রল-ডিজ়েলের জন্যেও! যেগুলির দাম ১৩৩ দিন ধরে স্থির।

Advertisement

দীর্ঘ দু’বছরের করোনাকালে যাত্রীর অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিমান শিল্প। ইন্ডিগোর সিইও রণজয় দত্ত-র দাবি, এমন অবস্থায় এ বছর জানুয়ারি থেকে ৫০% দামি হওয়া এটিএফ তাদের উপরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সরকারেরএই জ্বালানিকে জিএসটি-র আওতায় আনা উচিত। যাতে সফরের খরচ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যে থাকে এবং বিমান সংস্থাগুলিও লাভজনক ভাবে ব্যবসা করতে পারে।

৭ মার্চ পাঁচ রাজ্যে ভোট মেটার পরে এটিএফের মতো পেট্রল-ডিজ়েলের দামও বাড়বে বলে আশঙ্কা ছিল। সেটা হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি এখন সংসদের চলতি অধিবেশন শেষ হওয়ার অপেক্ষা? তার আগে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি জ্বালানির দাম বাড়ালে বিরোধীদের হইচইয়ে অধিবেশন ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাঁদের হাতে সেই হাতিয়ার তুলে দিতে চায় না কেন্দ্র?

পরে দাম বাড়বে, এই উদ্বেগে তড়িঘড়ি পেট্রল-ডিজ়েল কিনে রাখার হিড়িক পড়েছে পাম্পের ডিলার এবং ক্রেতাদের মধ্যে। পরিসংখ্যান বলছে, এই কারণেই মার্চের প্রথমার্ধে পেট্রলের বিক্রি বেড়েছে লাফিয়ে। ১-১৫ মার্চে আগের বছরের একই সময়ের থেকে প্রায় ১৮% বেড়ে ১২.৩০ লক্ষ টন ছুঁয়েছে। ছাড়িয়েছে অতিমারির আগের বিক্রিকেও। মূলত গণপরিবহণের জ্বালানি ডিজ়েলের বিক্রি ২৩.৭% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৩০ লক্ষ টন।

ভোট শেষের আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করে বলেছিলেন, সকলে যেন তেলের ট্যাঙ্ক ভরিয়ে রাখেন। কারণ মোদী সরকারের ‘ভোট অফার’ শেষ হওয়ার মুখে। অর্থাৎ ইঙ্গিত ছিল, দাম বাড়বে। রাজ্যসভায় তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর দাবি, এই মন্তব্যের জেরেই তেলের ২০% বেআইনি মজুতদারি হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement