Stock Manipulation

আট মাসে ৪০ থেকে বেড়ে ৪০০০ কোটি! স্টক ‘কারচুপি’তে নন-ব্যাঙ্কিং সংস্থাকে নিষিদ্ধ করল সেবি

নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাচেলি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স লিমিটেড বা পিআইএফএল-সহ মোট সাতটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠেছে স্টকে জালিয়াতির অভিযোগ। তাদের এ বার নিষিদ্ধ করল বাজার নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:১২
Stock manipulation allegations SEBI bars PIFL and six other entities

—প্রতীকী ছবি।

ফের স্টকে কারচুপির অভিযোগ। এর জেরে এ বার সেবির (সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া) কোপে পড়ল একটি নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান-সহ মোট সাতটি সংস্থা। তাদের আপাতত শেয়ার বাজার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি কোনও স্টক লেনদেন করতে পারবে না।

Advertisement

সম্প্রতি শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাচেলি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স লিমিটেড বা পিআইএফএলের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া অভিজিৎ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, ক্যালিক্স সিকিউরিটিজ় প্রাইভেট লিমিটেড, হিবিস্কাস হোল্ডিংস, অ্যাভাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস, এডোপ্টিকা রিটেইল ইন্ডিয়া এবং সালফার সিকিউরিটিজ়ের বিরুদ্ধেও একই রকমের অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, পিআইএফএলের বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল ৪০ কোটি টাকা। কিন্তু মাত্র আট মাসের মধ্যেই তা বেড়ে চার হাজার কোটিতে পৌঁছে যায়। বিষয়টি নজরে আসতেই এই নিয়ে তদন্তে নামে সেবি। গত বছরের (পড়ুন ২০২৪) ২ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ১৬ জানুয়ারির মধ্যে নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির স্টকের দাম ২১.০২ টাকা থেকে এক লাফে ৭৮.২০ টাকায় উঠেছে। পাশাপাশি, এই সময়সীমার মধ্যে সংস্থাটির মূল্য-আয় অনুপাত বা প্রাইস আর্নিং রেশিয়ো চার লাখে চলে গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি পিআইএফএলকে নিয়ে একটি অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশিকা জারি করে সেবি। সেখানে বলা হয়েছে, ছ’টি সংস্থা থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে ওই নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থা। পরে ওই ঋণকে অগ্রাধিকারমূলক বরাদ্দের মাধ্যমে ইক্যুইটিতে রূপান্তরিত করে তারা। আর এ ভাবেই ঋণদাতাদের ৫১ কোটিরও বেশি শেয়ার ইস্যু করেছে পিআইএফএল।

বাজার নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রীয় সংস্থা আরও জানিয়েছে, নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করেছে তারা। এর থেকে ঋণের লেনদেন জাল ছিল বলে জানতে পেরেছে সেবি। ফলে এই সংস্থাগুলির কর্ণধার এবং পদস্থ আধিকারিকদের গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন