রেল যাত্রায় সুদিন। ফাইল চিত্র
সামনেই শীতকাল। বাতানুকুল বগিতে তো বটেই, সাধারণ স্লিপারেও রাতে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে চাই কম্বল। অল্প শীতেও নিদেনপক্ষে একটা চাদর লাগেই। কারণ, চলন্ত ট্রেনে হাওয়াতেও শীত লাগে। সাধারণ বগিতে যাত্রা করলে বরাবরই বালিশ, চাদর, কম্বল সবই সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হয়। বাতানুকুল বগিতে অবশ্য রেলের পক্ষে সে সব দেওয়া হত। তবে এখন করোনাকালে বালিশ-কম্বল কিছুই দেওয়া হয় না।
করোনাকালে ট্রেন সফরের সময় যাঁরা বালিশ, চাদর, কম্বল ইত্যাদি নিতে চান তাঁদের জন্য রেল বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে। প্রথমে দিল্লি দিয়ে শুরু হলেও এখন অন্যান্য বড় স্টেশনেই এই সুবিধা দেওয়া হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। এর জন্য যাত্রীদের মাথাপিছু দিতে হবে ৩০০ টাকা। তার বিনিময়ে রেল দেবে একটি কম্বল, একটি বিছানা পাতার চাদর, একটি বালিশ, বালিশের কভার, একবার ব্যবহার করেই ফেলে দেওয়া যায় এমন একটি ব্যাগ, টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, চুলে মাখার তেল, চিরুনি, স্যানিটাইজার, পেপারসোপ এবং টিস্যু পেপার।
এর চেয়ে সস্তার একটি কিটও পাওয়া যায়। তার দাম ১৫০ টাকা। অল্প দূরত্বের যাত্রার জন্য এটি ভাল। এতে শুধু একটি কম্বল দেওয়া হয়। এ ছাড়াও একটি ‘গুড মর্নিং কিট’ দেয় রেল। যেটির দাম মাত্র ৩০ টাকা। এটায় বিছানা পাওয়া যায় না। দেওয়া হয় টুথপেস্ট, টুথব্রাস, চুলে মাখার তেল, চিরুনি, স্যানিটাইজার, পেপারসোপ এবং টিস্যু পেপার।
এই কিটগুলি কেনার পরে তা আর রেলকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপার নেই। কেউ চাইলে বাড়িতেও নিয়ে আসতে পারেন বা ট্রেনের ভিতরে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দিতে পারেন।