ফ্রাঞ্চাইজির জন্য চাই ৫০ থেকে ৮০ বর্গফুটের পাকা ঘর। গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ
দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আয়ের এক সুবর্ণ সুযোগ! অনেকেই ব্যাঙ্কের এটিএম বসানোর জন্য ঘর ভাড়া দিয়ে থাকেন। কিন্তু সেটা না করেও স্টেট ব্যাঙ্কের ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়া যায়। আর সেটা করলে ঘরে বসে লেনদেন অনুযায়ী কমিশন মেলে। মাসে যার পরিমাণ মোটামুটি ৬০ হাজার টাকা।
এই ফ্রাঞ্চাইজি নিতে হলে থাকতে ৫০ থেকে ৮০ বর্গফুট জায়গা। ব্যাঙ্কের সব রকম শর্ত পূরণ করলে সেই জায়গায় এসবিআই এটিএম বসাবে। তবে একটা শর্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্টেট ব্যাঙ্কের কোনও এটিএম থেকে কমপক্ষে ১০০ মিটার দূরের জায়গা বাছতে হবে। চাই পাকা ঘর এবং ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুৎ সংযোগ। ১ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার ব্যবস্থাও থাকা চাই। সেই সঙ্গে কোনও আবাসনে ওই ঘর হলে ভি-স্যাট বসানোর জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট থাকা জরুরি।
যে কেউই এর জন্য আবেদন করতে পারেন। তার জন্য আধার, প্যান, ভোটার, রেশন কার্ড থাকতে হবে। চাই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ফোন নম্বর এবং জিএসটি নম্বর। স্টেট ব্যাঙ্কের এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি নিতে গেলে ইন্ডিক্যাশ, মুথুট এটিম এবং ইন্ডিয়া ওয়ান এটিএম সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এদের মাধ্যমেই ফ্রাঞ্চাইজি পাওয়া যায়। সংস্থাগুলির ওয়েবসাইটে গিয়েও আবেদন করা যায়। মোট বিনিয়োগ ৫ লাখ টাকা। ফ্রাঞ্চাইজি পেলে ২ লাখ টাকার জমানত (সিকিউরিটি ডিপোজিট) এবং ৩ লাখ টাকা কার্যকরী মূলধন (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল) জমা দিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে আয়ের গোটাটাই কমিশন বাবদ। ঘর ভাড়া দেয় না স্টেট ব্যাঙ্ক। আয়ের হিসেব হচ্ছে, ওই এটিএমের মাধ্যমে প্রতিটি নগদ লেনদেনের জন্য ৮ টাকা করে, আর নগদ ছাড়া অন্য লেনদেন পিছু কমিশন ২ টাকা। ধরা যাক, দিনে ২৫০টি লেনদেন হয়েছে এবং তার মধ্যে ৬৫ শতাংশ নগদ এবং ৩৫ শতাংশ অন্যান্য। তাতে মাসিক আয় হয় ৪৫ হাজার টাকার মতো। আর দিনে ৫০০ লেনদেন হলে কমিশনে ৮৮ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এমন ফ্রাঞ্চাইজির মাসিক গড় আয় ৬০ হাজার টাকা।