অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে কলকাতা সার্কলে মোবাইল সংযোগ ছেড়েছেন মোট গ্রাহকের ০.৬৫%। যা সংখ্যার হিসেবে প্রায় ১.৪৭ লক্ষ। —প্রতীকী চিত্র।
সাধারণ মানুষের জীবনে ফোনের ভূমিকা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। কাজে হোক বা অবসরে, মুঠোয় এই যন্ত্র ছাড়া দিন কাটানোর কথা আর ভাবতে পারেন না বেশির ভাগই। এমন অবস্থায় টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের এক রিপোর্টে উঠে আসা বহু গ্রাহকের মোবাইল সংযোগ ছাড়ার তথ্য কিছুটা অবাক করার মতো বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যে তালিকায় গোটা দেশের মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে কলকাতা সার্কল। টেলিকম নেটওয়ার্কের এই এলাকার মধ্যে রয়েছে কলকাতা শহর এবং শহরতলির কিছুটা অংশ।
ট্রাইয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে কলকাতা সার্কলে মোবাইল সংযোগ ছেড়েছেন মোট গ্রাহকের ০.৬৫%। যা সংখ্যার হিসেবে প্রায় ১.৪৭ লক্ষ। এই দিক থেকে কলকাতার আগে রয়েছে শুধুমাত্র জম্মু ও কাশ্মীর। এই সার্কলে সংযোগ ছেড়েছেন প্রায় ১.১ লক্ষ জন। মোট গ্রাহকের ০.৯%। অন্য দিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলে (কলকাতা সার্কল বাদে রাজ্যে বাকি অংশ) এই হার ০.১৯%। আর সারা দেশে ০.১৫%, সংখ্যার হিসেবে প্রায় ১৭.৭ লক্ষ। নিয়ন্ত্রক জানিয়েছে, একই সঙ্গে ওই মাসে কলকাতা সার্কলে নম্বর এক রেখে সংযোগ বা পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা বদল করার (নম্বর পোর্ট ) আবেদন জমা পড়েছে ১.৯৪ কোটি। যা অক্টোবরে ছিল ১.৯২ কোটি।
ট্রাইয়ের তথ্য বলছে, পাঁচ মাস বাদে নভেম্বরেই প্রথম গ্রাহক হারিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল। সারা দেশে তার সংখ্যা ৩.৪ লক্ষ। কলকাতা সার্কলে সবচেয়ে বেশি সংযোগ বাদ গিয়েছে তাদেরই, প্রায় ৮৫,০০০। এখানে ভোডাফোন আইডিয়া (ভি) হারিয়েছে প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহক। এয়ারটেলের সংযোগও ছেড়েছেন প্রায় ৩০,০০০ জন। শুধু রিলায়্যান্স জিয়ো-র গ্রাহক সংখ্যা কলকাতায় প্রায় একই রয়েছে। সারা দেশে বেড়েছে ১২ লক্ষ। পাঁচ মাস বাদে এই প্রথম তারা গ্রাহক যোগ করল।
রিপোর্ট তুলে ধরেছে, নভেম্বরে দেশের মধ্যে নতুন গ্রাহক যোগ করেছে হাতে গোনা ছ’টি সার্কল। এগুলি হল— দিল্লি, কর্নাটক, ওড়িশা, বিহার, হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ (পূর্ব) সার্কল। ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় এক আছে অন্ধ্রপ্রদেশ সার্কলে। ফলে গ্রাহক হারানোর তালিকায় রয়েছে বাদবাকি ১৫টি সার্কল। তার মধ্যেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা।