Congress

সুবিধা আদানি গোষ্ঠীকে, তোপ রমেশের

হিন্ডেনবার্গ কাণ্ডের পর থেকে মোদী সরকার এবং আদানি গোষ্ঠীর ‘ঘনিষ্ঠতা’ তুলে ধরে দুই পক্ষের উদ্দেশেই একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে চলেছে কংগ্রেস। প্রশ্ন তুলেছে মহারাষ্ট্রে ওই শিল্প গোষ্ঠীর বিভিন্ন প্রকল্পের বরাত পাওয়াকে ঘিরে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৩১
জয়রাম রমেশ।

জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।

আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে বিধানসভার ভোটগ্রহণ। আজ জাতীয় নির্বাচন কমিশন সেই ভোটপর্বের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে। তার কিছুক্ষণ আগে কেন্দ্রের মোদী সরকার এবং মহারাষ্ট্রের মহাযুতি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। তাদের দাবি, মহাযুতি সরকারের পতন অনিবার্য। তারা নিজেরাও সেটা জানে। আয়ু শেষ হওয়ার আগে সাধারণ মানুষের অর্থের বিনিময়ে আদানি গোষ্ঠীর হাতে একের পর এক ‘উপহার’ তুলে দিয়েছে তারা। বিজেপি মহাযুতির বৃহত্তম শরিক।

Advertisement

হিন্ডেনবার্গ কাণ্ডের পর থেকে মোদী সরকার এবং আদানি গোষ্ঠীর ‘ঘনিষ্ঠতা’ তুলে ধরে দুই পক্ষের উদ্দেশেই একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে চলেছে কংগ্রেস। প্রশ্ন তুলেছে মহারাষ্ট্রে ওই শিল্প গোষ্ঠীর বিভিন্ন প্রকল্পের বরাত পাওয়াকে ঘিরে। আজ আদানিদের পাওয়া বিভিন্ন ‘সুবিধার’ তালিকা তুলে ধরেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। বলেছেন, ‘‘মহাযুতির নির্বাচনী ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তবে ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার আগে তারা মোদানির আর্থিক ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে চাইছে।’’ তাঁর অভিযোগ, গত ১৫ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্র সরকারকে ৬৬০০ মেগাওয়াট বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের বরাত পায় আদানিরা। কিন্তু সেই বিদ্যুতের দাম অন্যান্য প্রকল্পে বিদ্যুতের দামের চেয়ে বেশি। ৩০ সেপ্টেম্বর ২৫৫ একর লবণাক্ত জমি তুলে দেওয়া হয় গৌতম আদানির গোষ্ঠীর হাতে। এর পরে ১০ এবং ১৪ অক্টোবর আরও ১৪০ একর এবং ১২৪ একর জমি তাদের দিয়েছে একনাথ শিন্দে সরকার। কংগ্রেসের বক্তব্য, নির্বাচনী আচরণ বিধি কার্যকর হওয়ার আগে শেষ কয়েকটা দিন আদানি গোষ্ঠীকে ‘সুবিধা পাইয়ে দেওয়ায়’ নিবিষ্ট ছিল রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, এর আগে মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তি পুনর্গঠন প্রকল্পের বরাত আদানিদের দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস।

Advertisement
আরও পড়ুন