— প্রতীকী চিত্র।
কোনও ভারতীয় নাগরিকের যদি বিদেশে সম্পত্তি থাকে কিংবা বিদেশ থেকে আয় হয়, তবে আয়কর রিটার্নে সেই তথ্য দাখিল কিংবা সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছিল আয়কর দফতর। জানিয়েছিল, ২০২৪-২৫ হিসাববর্ষের ক্ষেত্রে তা করার জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের (সিবিডিটি) তদন্ত শাখার কমিশনার শশীভূষণ শুক্ল জানান, এ বছর এখনও পর্যন্ত এমন ২ লক্ষ রিটার্ন জমা পড়েছে। প্রত্যেক বছর এই সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে বৈদেশিক সূত্রের আয়ের তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে ঠিক ফর্ম পূরণের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ভুল ফর্ম ভরলে তা-ও যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংশোধন করে দেন করদাতা। না হলে জরিমানা চাপতে পারে।
সম্প্রতি বৈদেশিক আয় ও সম্পদ সংক্রান্ত এক অনলাইন আলোচনাচক্রে বক্তৃতা দেন শুল্ক। জানান ২০১৫ সালের কালো টাকা বিরোধী আইনের সঙ্গে এর যোগসূত্র সম্পর্কে। সেই সঙ্গে বলেন, কোনও ভারতীয় করদাতার যদি বিদেশে স্থাবর সম্পত্তি থাকে এবং সেখান থেকে তিনি কোনও আয় না-ও করেন, তা হলেও রিটার্ন ফর্মের নির্দিষ্ট স্থানে সেই তথ্য জানাতে হবে। বিদেশের নিয়োগকারীর মাধ্যমে যদি সংস্থার শেয়ার বা ডিভিডেন্ড কেউ পান, দাখিল করতে হবে সেই তথ্যও। তার জন্য কর মেটানোর প্রয়োজন হলে দিতে হবে তা-ও। আর যদি অন্য দেশে ইতিমধ্যেই কর দেওয়া হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলেও প্রয়োজনীয় ছাড়ের সংস্থান রয়েছে রিটার্ন ফর্মে। তবে করদাতা যেন ঠিক ফর্ম বাছাই করেন।
শুল্ক বলেন, ‘‘১ নম্বর এবং ৪ নম্বর রিটার্ন ফর্মে বিদেশি সম্পদ এবং বিদেশের সূত্রে আয়ের তথ্য জানানোর কোনও ব্যবস্থা নেই। যাঁরা এই সংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছেন তাঁরা যেন ঠিক ফর্ম বাছাই করে নিয়ম মেনে দাখিল করেন।’’