Online Fraud

বিপুল ছাড়ের টোপ দিয়ে প্রতারণা, হ্যাকারদের ‘কুনজরে’ অনলাইন শপিং!

উৎসবের মরসুমে অনলাইন শপিং বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে সাইবার প্রতারণা। বিপুল ছাড়ের টোপ দিয়ে হ্যাকাররা গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে টেক জায়ান্ট সংস্থা ‘ম্যাকাফি’।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৫
Hackers target customers of ecommerce with allurement of high discount warns MaAfee

—প্রতীকী ছবি।

জামা-কাপড় থেকে বৈদ্যুতিন সামগ্রী। কিংবা ঘর-গৃহস্থালীর নানা জিনিস। দামের উপর বিপুল ছাড় থাকায় অনেকেই তা অনলাইনে কিনতে ভালবাসেন। কিন্তু সস্তার এই কেনাকাটায় বাড়ছে বিপদে। নিঃশব্দে ই-কমার্স সংস্থাগুলির নাম করে ছাড়ের অফারের লোভ দেখিয়ে গ্রাহককে সর্বসান্ত করছে হ্যাকারের দল।

Advertisement

সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সাইবার সুরক্ষা সংস্থা ‘ম্যাকাফি’। ওই রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ম্যাকাফি জানিয়েছে, ‘অ্যামাজ়ন’ বা ‘ফ্লিপকার্ট’-এর মতো জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থাগুলি নাম নিয়ে ছাড়ের কথা বলে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকের দল। আর তাই বিপুল ছাড়ের লোভ দেখানো অনলাইন কেনাকাটার লিঙ্কে ক্লিক না করার পরামর্শ দিয়েছে এই টেক জায়ান্ট সংস্থা।

ম্যাকাফির রিপোর্ট অনুযায়ী, অক্টোবরে উৎসবের মরসুমে অনলাইন কেনাকাটা বৃদ্ধি পাওয়ায় তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পায় সাইবার প্রতারণা। ১ থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইন কেটাকাটায় গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। তবে এ বছরের উৎসবের মরসুমে ভারতীয়দের অনলাইন কেনাকাটার পরিমাণ বেড়েছে বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।

গত বছরের (পড়ুন ২০২৩) তুলনায় এ বার ৬৬ শতাংশ বেশি ভারতীয় উৎসবের সময়ে অনলাইনে কেনাকাটা করেছেন। এদের মধ্যে আবার ৬৮ শতাংশের নজর ছিল ছাড়ের দিকে। অন্য দিকে অনলাইন শপিংকে সহজ এবং দ্রুততম বলছেন ৬০ শতাংশ গ্রাহক।

ম্যাকাফি জানিয়েছে, উৎসবের সময়ে প্রতারণার জাল ছড়িয়ে দিতে হ্যাকাররা একটি সহজ রাস্তা নিয়েছিল। প্রথমেই অনলাইন কেনাকাটায় ইচ্ছুক গ্রাহকদের ই-মেল পাঠানো হত। সেখানে থাকত বিভিন্ন সামগ্রীর দামের উপর বিপুল ছাড়ের অফার। ই-মেলে দ্রুত অনলাইন কেনাকাটার জন্য দেওয়া থাকত লিঙ্ক। যাতে ক্লিক করলেই গ্রাহকের বৈদ্যুতিন ডিভাইসের (কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব বা মোবাইল ফোন) যাবতীয় তথ্য চলে যেত হ্যাকারের কাছে। এর পর সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে হানা দিয়েছে তাঁরা।

আরও পড়ুন
Advertisement