কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড সংস্থার (ইপিএফও) পেনশন প্রকল্পে ন্যূনতম মাসিক পেনশন ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০০০ টাকা করার দাবি জানাল কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। সোমবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তাদের প্রাক বাজেট বৈঠক হয়েছে। সেখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো সংশোধনের জন্য অষ্টম বেতন কমিশন তৈরির দাবিও জানিয়েছে তারা।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের পেনশন প্রকল্পে (ইপিএস-৯৫) ন্যূনতম পেনশন দীর্ঘদিন ধরেই ১০০০ টাকা। কিন্তু পেনশন গ্রাহক-সহ বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, আজকের চড়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এই টাকায় কী হয়? যেখানে গৃহস্থের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দামই ৮২৯ টাকা! ফলে পেনশনের এই অঙ্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে অনেক দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। এ দিন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আবার তা তুলে ধরল তারা। আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের (বিএমএস) সাংগঠনিক সম্পাদক (উত্তরাঞ্চল) পবন কুমার বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় ন্যূনতম পেনশন বাড়ানো হোক। পরে তার সঙ্গে যুক্ত করা হোক পরিবর্তনশীল মহার্ঘভাতা।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শ্রম বিধি নিয়ে বিতর্কের আবহে বিএমএস এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের শ্রমিক সংগঠন টিইউসিসি জানিয়েছে, মজুরি বিধি এবং সামাজিক সুরক্ষা বিধি নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। এই দু’টি কার্যকর হতে পারে। যদিও বাকি সংগঠনগুলির বক্তব্য, অবিলম্বে ভারতীয় শ্রম সম্মেলন ডেকে চারটি শ্রম বিধিই ফিরিয়ে নেওয়া হোক। অঙ্গনওয়াড়ি, নির্মাণকর্মী, বাড়ির কাজে সাহায্যের কর্মী এবং মৎস্যজীবীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প তৈরির দাবি জানিয়েছেন টিএইসিসি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এস পি তিওয়ারি।
বৈঠকের শেষে সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন বলেন, ‘‘অর্থমন্ত্রীকে বলেছি, আমরা প্রত্যেক বছর আপনার সঙ্গে বৈঠক করি। কিন্তু আপনি কোনও দাবি মানেন না। সৌজন্যের খাতিরেই আমরা বৈঠকে আসি।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘পিএলআই প্রকল্পে বিভিন্ন সংস্থাকে মোট ১.৯৭ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সংস্থাগুলি এই খাতে ১.৪৭ লক্ষ কোটি লগ্নি করেছে। এর তদন্ত হওয়া দরকার।’’