Rahul Gandhi- Madhabi Puri Buch

মাধবীকে নিশানা কংগ্রেসের

শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে ‘বুচ হ্যায় তো সিন্ডিকেট সেফ হ্যায়’ শীর্ষক একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছেন কংগ্রেস নেতা। বলেছেন, শুধু ‘ইনসাইডার ট্রেডিং’ (সংস্থার ভিতরের তথ্য জেনে শেয়ার লেনদেন) নয়, সেবি প্রধানের কাজকর্মে বিপুল স্বার্থের সংঘাত জড়িয়ে রয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০৫
রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধী। —ফাইল ছবি।

সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ, আদানি গোষ্ঠী এবং মোদী সরকারকে এক সূত্রে বেঁধে ফের আক্রমণ শানালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে ‘বুচ হ্যায় তো সিন্ডিকেট সেফ হ্যায়’ শীর্ষক একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছেন কংগ্রেস নেতা। বলেছেন, শুধু ‘ইনসাইডার ট্রেডিং’ (সংস্থার ভিতরের তথ্য জেনে শেয়ার লেনদেন) নয়, সেবি প্রধানের কাজকর্মে বিপুল স্বার্থের সংঘাত জড়িয়ে রয়েছে। কর্পোরেটদের যোগসাজশ অর্থনীতির কাঠামোকে চুরমার করে দিচ্ছে ভিতর থেকে। এই বিপদ থেকে দেশকে যাঁদের রক্ষা করার কথা, তাঁরাই অপরাধে সাহায্য করে চলেছেন। এ দিন মাধবী অভিযোগের বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। অতীতে অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি।

Advertisement

গত বছর হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে গৌতম আদানির শিল্প গোষ্ঠী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জড়িয়ে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়ে চলেছে কংগ্রেস। পরে অভিযোগের তালিকায় যোগ হয় মাধবী ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের নাম। কংগ্রেসের দাবি, সেবির পদে থাকাকালীন নিয়ম ভেঙে বিভিন্ন সংস্থা থেকে আয় করেছেন মাধবী। অংশীদারি ধরে রেখেছেন নিজের সংস্থায়। বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে যখন সেবিতে মামলা চলছিল, ঠিক তখনই সেই সমস্ত সংস্থাকে পরামর্শ দিয়ে রোজগার করেছেন ধবল। বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য গত ২৪ অক্টোবর সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সামনে মাধবীকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সমন এড়িয়ে যান। আগামী ১৯ নভেম্বর ফের বৈঠক বসছে ওই কমিটি। তবে সে দিন অন্য বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সেবি প্রধানকে সে দিন সমন করা হচ্ছে না।

এ দিন ৬ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ভিডিয়োয় বিমানের আসনে বসে রাহুলের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রচার শাখার প্রধান পবন খেরাকে মাধবী কাণ্ড নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। পবন রাহুলকে বলছেন, ‘‘হিন্ডেনবার্গ কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে মাধবী বলেছিলেন তাঁদের (মাধবী ও ধবল) সংস্থা আগোরাকে নিষ্কৃয় করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই দাবি মিথ্যা। আগোরার হাতে ধারাবাহিক ভাবে কাজ আসছিল। কাজ এসেছিল মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রার থেকেও।... ঠিক যে সময়ে সেবিতে মহিন্দ্রার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। মামলা চলেছে, আগোরার হাতে রোজগার এসেছে।... মহিন্দ্রা ধবলকে বেতন দিয়েছে। একই সময়ে তাঁর সংস্থাকে পরামর্শের জন্যও টাকা দিয়েছে। ঠিক যখন মাধবীর পক্ষে শেয়ার বাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য পাওয়া সম্ভব ছিল। সেবির শীর্ষে থাকার সময়ে মাধবী শেয়ার লেনদেন করেছেন।’’

রাহুলের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর নীরব থেকে এই সমস্ত কিছুর সুযোগ করে দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে নাম না করে শুধু মোদী ও আদানির একটি ছবি দেখিয়ে রাহুলের বক্তব্য, ‘‘মহারাজা কে? যাঁর হাতে প্রতিষ্ঠানগুলির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে। রয়েছে আইনি ও তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রণও। অথচ তিনি সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হয়ে এই নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন না। করছেন নিজের স্বার্থে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement