Gold Price Hike

৭৮ হাজার পেরোল সোনার দাম! পুজোর মুখে মাথায় হাত বিক্রেতাদের

বুধবার কলকাতায় ১০ গ্রাম খুচরো পাকা সোনা (২৪ ক্যারাট) এই প্রথম ৭৫,৮০০ টাকা ছুঁয়েছে। জিএসটি ধরে ৭৮,০৭৪ টাকা। পাকা সোনার বাট হয়েছে ৭৫,৪৫০ টাকা। কর সমেত পড়ছে ৭৭,৭১৩.৫০।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৪২

—প্রতীকী চিত্র।

নতুন শিখরে পৌঁছল সোনার দাম। যা পুজোর আগে চিন্তায় ফেলল ক্রেতা এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। বিয়ের মতো অনুষ্ঠানের জন্য যাঁদের গয়না না কিনে উপায় নেই, তাঁদের কার্যত মাথায় হাত। গয়নার বিক্রিবাটা তলানিতে ঠেকায় প্রমাদ গুনছে ছোটখাটো সোনার দোকানগুলিও।

Advertisement

বুধবার কলকাতায় ১০ গ্রাম খুচরো পাকা সোনা (২৪ ক্যারাট) এই প্রথম ৭৫,৮০০ টাকা ছুঁয়েছে। জিএসটি ধরে ৭৮,০৭৪ টাকা। পাকা সোনার বাট হয়েছে ৭৫,৪৫০ টাকা। কর সমেত পড়ছে ৭৭,৭১৩.৫০। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, আমেরিকায় সুদ বৃদ্ধি, দুর্বল ডলার এখন বিশ্ব বাজারে সোনা দামি হওয়ার প্রধান কারণ। অনেকেই তড়িঘড়ি আমানত থেকে সোনা-শেয়ারে লগ্নি সরাচ্ছেন। ফলে বেশি চাহিদা সেগুলির দামকে ঠেলে তুলছে। যার প্রভাব পড়ছে ভারতেও।গয়না ব্যবসায়ীদের দাবি, ব্যবসা বাড়ানোর অন্যতম সময় দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে ধনতেরস, দিওয়ালি। কিন্তু এ বছর আর জি কর কাণ্ড সেই উৎসাহের আলো অনেকটাই নিভিয়ে দিয়েছে। কমেছে ক্রেতার আনাগোনা। এই অবস্থায় পুজোর ঠিক দু’সপ্তাহ আগে তাতে খাঁড়ার ঘা দিল আকাশছোঁয়া সোনার দাম। বহু ছোট-মাঝারি দোকানে বিক্রি প্রায় শূন্যে নেমেছে। ধনতেরসের ব্যবসা নিয়ে সকলেনই সন্দিহান।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর সমর দে বলেন, ‘‘পুজোর বাজার ভাল চলছে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গয়না কিনছেন না। দাম আরও বাড়তে পারে। তখন কী হবে!’’ উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গয়না ব্যবসায়ী বিনয় সিংহের দাবি, ‘‘বাজেটে সোনায় শুল্ক কমার পরে গয়নার সোনা যখন ৬৮ হাজারে নেমেছিল, তখন বিক্রি ভাল বেড়েছিল। সেই বাজার পুরোটা উবে গিয়েছে।’’ পি সি চন্দ্র গোষ্ঠীর এমডি উদয় চন্দ্রও বলছেন, ‘‘পুজোর বাজার কিছুটা কমেছে। ধনতেরস নিয়ে চিন্তায় আছি।’’ অখিল ভারতীয় স্বর্ণশিল্পী সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দার বলছেন, ‘‘বহু ছোট দোকানের বিক্রি পুরো বন্ধ। ফলে গয়নার বরাতও কমেছে।’’ একই কথা জানান মধ্য কলকাতার গরানহাটার পাইকারি গয়না বিক্রেতা চিত্তরঞ্জন পাঁজা। তিনি বলছেন, ‘‘আমাদের থেকে বহু দোকানই আর মাল তুলছে না। ধনতেরস এবং দিওয়ালি দিকে তাকিয়েছিলাম। কিন্তু উদ্বেগ বাড়ছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement