প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শিল্পমহল। প্রায় সকলেই মনে করালেন, তৎকালীন যোজনা কমিশন থেকে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নরের পদ ঘুরে অর্থমন্ত্রী হয়ে শেষে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কর্মক্ষেত্রের দীর্ঘ সফরে প্রয়াত অর্থনীতিবিদের মূল্যবোধের সঙ্গে কোনও ভাবেই আপস না করার কথা। স্মরণ করলেন, নীরবে মাটির কাছাকাছি থেকে তাঁর শিল্প, সংস্কার আর উন্নয়নের প্রকৃত অর্থ উপলব্ধি করতে পারার ক্ষমতার কথাও। দাবি করলেন, সেই প্রেক্ষিতেই মনমোহনের মৃত্যুতে তৈরি হওয়া ফাঁকা জায়গা ভরাট হওয়া বেশ কঠিন।
টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন থেকে আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর কুমার মঙ্গলম বিড়লা, গৌতম আদানি বা সজ্জন জিন্দল— সকলেই নানা বার্তায় মনমোহন সিংহের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। চন্দ্রশেখরন বলেন, ‘‘আমরা শোকাহত। তিনি ভারতকে আর্থিক ভাবে উদারীকরণের পথে নিয়ে যাওয়ার প্রধান কারিগর। ব্যক্তিগত মূল্যবোধকে এগিয়ে রাখা, দূরদর্শী চিন্তাভাবনা এবং গভীর অন্তর্দৃষ্টির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’’ আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘ইতিহাস চিরকাল তাঁকে ১৯৯১-এর আর্থিক সংস্কারের জন্য স্মরণ ও সম্মান করবে। (অর্থনীতিকে খুলে দেওয়ার) সেই সিদ্ধান্ত ভারতকে বিশ্বের দরবারে নতুন ভাবে চিনিয়েছে।’’
জেএসডব্লিউ গোষ্ঠীর শীর্ষকর্তা সজ্জন জিন্দলের কথায়, ‘‘ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থনৈতিক উদারীকরণের মূল উদ্যোক্তা মনমোহন সিংহের মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত।’’ কুমার মঙ্গলম বলেন, ‘‘উদারীকরণই ভারতের অর্থনৈতিক উত্থানে গতি এনেছে এবং ভারতীয়দের সামনে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। শেষ কয়েক দশক ধরে দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তাঁর বুদ্ধি, প্রজ্ঞা এবং নম্রতা।
মনমোহনের প্রয়ানে শোকপ্রকাশ করেছে বণিকসভাগুলিও। ফিকির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, অর্থমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি যে সব পদক্ষেপ করেছেন, তা-ই তৈরি করে দিয়েছে দেশের অর্থনীতির ভিত। সিআইআই মনে করিয়ে দিয়েছে বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাবিদ হিসেবে তাঁর অবদানের কথা। শহরের বণিকসভা আইসিসি-র তরফে মনমোহনের কাজকে স্মরণ করে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।