—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত বুধবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব অর্থনীতির আকাশে যে বোমা ফাটালেন তা ছোটখাটো পরমাণু বোমা বিস্ফারণের সমান। গোটা বিশ্ব আশঙ্কা নিয়ে অপেক্ষা করছিল ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন, তা জানতে। সে দিন সব দেশের উপরে ১০% শুল্ক তো তিনি বসিয়েইছেন। সেই সঙ্গে ভারত-সহ সিংহভাগ দেশের পণ্যে বসেছে আরও বেশি শুল্ক। এই ঘোষণায় বিভিন্ন দেশ তো বটেই, ভাল রকম আতঙ্ক ছড়িয়েছে আমেরিকাতেও। যা প্রতিফলিত হয়েছে সেখানকার দুই শেয়ার সূচক ন্যাসড্যাক এবং ডাও জোন্সে বড় ধস নামায়। চিন শুক্রবারই আমেরিকারপণ্যে ৩৪% শুল্কের ঘোষণা করেছে। কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ অনেক দেশ শুল্কের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। পরিস্থিতি যা, তাতে ছারখার হতে বসেছে বিশ্ব বাণিজ্যের মসৃণ আবহাওয়া। এই আশঙ্কা থেকেই সপ্তাহের শেষ দু’দিনে সেনসেক্স খোয়ায় ১২৫৩ পয়েন্ট। নামে ৭৫ হাজারে (৭৫,৩৬৫)।
প্রশ্ন হল এই যুদ্ধে ভারত কোথায় দাঁড়িয়ে। নয়াদিল্লি পাল্টা হুমকি না দিয়েসমঝোতার পথ বেছেছে। এরই মধ্যে আমেরিকার কিছু পণ্যে শুল্ক কমানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সেখান থেকেতেল আমদানি। বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে ট্রাম্পের শুল্ক সিদ্ধান্তে যে সমস্ত শিল্পের বেশি ক্ষতি হতে পারে সেগুলি হল বৈদ্যুতিন পণ্য, বস্ত্র, অলঙ্কার, তথ্যপ্রযুক্তি, রসায়নিক পণ্য, গাড়ির যন্ত্রাংশ, ইস্পাত ইত্যাদি।
শুল্কের পরিণাম কী হতে পারে তার আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। দেখে নেওয়া যাক—
সব খারাপেরই কিছু ভাল দিক থাকে। ভারতের ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। কারণ—
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ফেব্রুয়ারির ঋণনীতি বৈঠকে সুদ কমিয়েছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট। তার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি জমায় সুদ ছেঁটেছে দু’তিনটি ব্যাঙ্ক। ৯ এপ্রিলের ঋণনীতিতে ফের তা কমার সম্ভাবনা। সেটা হলে সুদ কমবে বহু ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। অর্থাৎ, মেয়াদি আমানতে লগ্নি দু’দিনের মধ্যে সারতে পারলে ভাল।
(মতামত ব্যক্তিগত)