সোমবার লোকসভায় প্রকল্প চালু করার দাবি তোলেন আরএসপির সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রন। —প্রতীকী চিত্র।
বর্ধিত হারে কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের পেনশন দেওয়ার দাবি উঠল সংসদে। পিএফের সদস্যেরা যাতে বেশি হারে তা পান, সে জন্য সোমবার লোকসভায় প্রকল্প চালু করার দাবি তোলেন আরএসপির সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রন। তিনি বলেন, ‘‘বর্ধিত হারে পেনশন দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাকে অনুসরণ করেই এমন স্থায়ী পেনশন প্রকল্প অবিলম্বে চালু করা হোক। যাতে পিএফের সদস্যেরা অবসর নেওয়ার পরে বেশি হারে পেনশনের টাকার পেতে পারেন।’’
বর্তমান আইন অনুযায়ী পিএফের আওতায় থাকা কর্মীদের সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত বেতনের ৮.৩৩% টাকা পেনশন অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। তবে শুধু নিয়োগকারীর দেয় টাকা (১২%) থেকে পেনশন তহবিলে টাকা যায়। সংস্থা দেয় বাকি টাকা এবং কর্মীর নিজস্ব দেয় টাকার পুরোটা জমা পড়ে পিএফ অ্যাকাউন্টে।
এ দিকে এই দিন প্রেমচন্দ্রনের আরও দাবি, বর্ধিত হারে পেনশন দিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরে সিংহভাগ আবেদনকারীই এখনও তা পাননি। ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর পিএফের সদস্যদের বর্ধিত হারে পেনশনের আবেদন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। তার পর থেকে বর্ধিত পেনশন পেতে অগস্ট পর্যন্ত ১৭,৪৮,৭৭৫টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে মাত্র ৮৪০১ জনকে বর্ধিত পেনশন মঞ্জুর করেছেন পিএফ কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, পিএফের সদস্যেরা বর্ধিত পেনশন পাওয়ার অধিকারী। অবিলম্বে তাঁদের প্রাপ্য দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, পিএফের আওতায় থাকা সাধারণ কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা বাড়াতে ১৯৯৫ সালের নভেম্বর মাসে পেনশন প্রকল্প চালু করা হয়। তার আগে পিএফে পারিবারিক পেনশন প্রকল্প চালু ছিল। যেখান থেকে সদস্য মারা গেলে তাঁর পরিবার পেনশন পেত। নয়া পেনশন প্রকল্পে অবসর নেওয়ার পরে সদস্য নিজে পেনশন পাবেন। তিনি মারা গেলে নির্দিষ্ট হারে পেনশন পাবেন তাঁর পরিবারের আইন মাফিক যোগ্য ব্যাক্তিরা।
এ দিন সংসদে চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন শিল্পের কলাকুশলীদের জন্য সামাজিক প্রকল্প চালু করার দাবি জানান বিজেপির সাংসদ অরুণ গোভিল। সামাজিক সুরক্ষার পাশাপাশি তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট মানের চুক্তি সম্পাদনের দাবিও জানান অরুণ। তিনি বলেন, কলাকুশলী এবং কিছু শ্রেণির অভিনেতাকে ওই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রযোজক এবং পরিচালকেরা নানা ভাবে বঞ্চিত করছেন বলে অভিযোগ করেন অরুণ।