Techno India Civil Engineering

দেশে-বিদেশে বাড়ছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা, দক্ষ পেশাদারের জোগান দিচ্ছে টেকনো ইন্ডিয়া

সম্প্রতি যে মৌলিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা কোর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শাখা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে, তা হল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। এর কারণ হল শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে ভারতের অগ্রগতি।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো
শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ২২:৩৭
টেকনো ইন্ডিয়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ

টেকনো ইন্ডিয়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ

গত ৩০ বছরে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মানচিত্রে যে নাম সবচেয়ে উজ্জ্বল, তা হল টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ। ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, লাইফ সায়েন্স, সাইকোলজি, আইন এবং কলা বিভাগের একগুচ্ছ বিষয়ে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে যে গোষ্ঠী বহুমাত্রিক হয়ে উঠেছে। টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি, পশ্চিমবঙ্গ, মূলত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা ও বি.টেক ডিগ্রি প্রদান করে থাকে।

এই রাজ্য, দেশ তথা দুনিয়ার জন্য সেরা মানবসম্পদ তৈরিতে ব্রতী টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ। সেই লক্ষ্যেই এই গোষ্ঠী নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে। প্রযুক্তিগত জ্ঞান হোক কিংবা কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে, সফ্ট স্কিল তৈরি হোক কিংবা হাতে কলমে শেখানো বা প্রয়োগিক শিক্ষা, এখানে সর্বোত্তম উপায়ে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রদান করা হয়। বিশ্বের তাবড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমণ্ডলীর থেকে পাওয়া পরামর্শ এখানকার পড়ুয়াদের শুধুমাত্র কর্পোরেট জগতে চাকরির জন্যই প্রস্তুত করে না, গুরুত্বপূর্ণ পদের সরকারি চাকরির জন্য তৈরি করার পাশাপাশি উদ্ভাবনী বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে নিজের স্টার্টআপ শুরু করে উদ্যোগপতি হওয়ারও উৎসাহ জোগায়। এখানকার পড়ুয়ারা ইতিমধ্য়েই ব্লু-চিপ সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তা, ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, পেটেন্টের অধিকারী, প্রযুক্তি বিশারদ, আইনজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ, কর্তাব্যক্তি, হসপিট্যালিটি ক্ষেত্রের পেশাদার, শিক্ষক এবং আরও নানা ভূমিকায় প্রতিষ্ঠা অর্জন করে টেকনো ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর নাম উজ্জ্বল করছে।

সম্প্রতি যে মৌলিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা কোর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শাখা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে, তা হল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। এর কারণ হল শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে ভারতের অগ্রগতি। ২০১৪ সালে ভারত ছিল দশ নম্বরে। আজ, এই ২০২৩ সালে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে নিজের জায়গা পোক্ত করেছে। মনে করা হচ্ছে যে ২০৩০ সালে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে। কেন্দ্রের সরকার হোক কিংবা অন্য কোনও দেশের সরকার, প্রতিটা দেশে প্রান্তিক এলাকায় প্রান্তিক মানুষের কাছে সরকারি সুবিধা ও সম্পদ পৌঁছে দিতে, অতর্কিতে আসা বিপর্যের মোকাবিলা করতে দক্ষ এবং বিশেষজ্ঞ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা অপরিসীম।

স্ট্রাকচারাল, জিওটেকনিক্যাল, আর্কিটেকচারাল, মাইনিং, ট্রানসপোর্টেশন, হাইড্রলিক ইত্যাদির মতো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন শাখা আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি এবং ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত। এই সমস্ত পরিসরে সরকারি এবং বেসরকারি, উভয় ক্ষেত্রেই যোগ্য ও প্রশিক্ষিত পেশাদারের প্রয়োজন।

অতিমারি আমাদের সাপ্লাই চেন বা সরবরাহ ব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সেই খামতি দূর করার কাজ চলছে। বিশ্বের ৮০০ কোটি জনসংখ্যার জন্য পরিবেশবান্ধব বাসস্থান তৈরি করাটাও আবশ্যিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অত্যাধুনিক গবেষণা এই পরিসরে কার্যকরী সমাধানসূত্র বার করতে পারে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনীয় গবেষণার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। প্রভাবশালী সরকারি পদে চাকরি পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভাল ফল করতে হয়। এখানকার পড়ুয়াদের সেই প্রস্তুতিতেও সাহায্য করা হয়।

IBBI (ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপসি বোর্ড অব ইন্ডিয়া)-র অধীনস্থ ICMAI রেজিস্টার্ড ভ্যালুয়ার্স অর্গানাইজেশন (RVO)-গুলোতে ভ্যালুয়ার হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন হয়। এই জন্য তাদের তিন ধরনের অ্যাসেট ক্লাস- ল্যান্ড ও বিল্ডিং, প্লান্ট ও মেশিনারি এবং সিকিউরিটিজ ও ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসেটস সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

ভারতে পেশা হিসেবে মূল্যায়নের ইতিহাস বেশ পুরনো। বিভিন্ন সংস্থা ভ্যালুয়েশনের জন্য প্রশিক্ষিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের উপরেই ভরসা করেন। অথচ এই পেশাতেই প্রশিক্ষিত পেশাদারের অভাব রয়েছে। তাই তরুণ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে এটা আর্থিক ভাবে অত্যন্ত আকর্ষণীয় পেশা হয়ে উঠেছে।

টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাজারের এই বিভিন্ন চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেয়, যাতে তারা বিভিন্ন সংস্থায় এই সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করতে পারে।

টেকনো ইন্ডিয়ার ছাত্রছাত্রীরা তাদের পড়াশোনার বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল এবং সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে সেরা কাজের সুযোগগুলো লুফে নেওয়ার জন্য সব সময়ে প্রস্তুত। ফলে এ কথা বলাই যায় যে এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা বিশ্বের দরবারে নিজেদের মেলে ধরতে, নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে এবং যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার জন্য তৈরি।

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বিশদ জানতে দেখুন technoindiauniversity.ac.in

দূরভাষ: 9836544417 /9836544418/ 9836544419

এই প্রতিবেদনটি ‘টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আরও পড়ুন