প্রতীকী চিত্র
হোয়াটস্অ্যাপ তো অল্পবিস্তর সকলেই ব্যবহার করেন এখন। তবে হোয়াটস্অ্যাপের হাত ধরে আপনার ফোনটি যাতে হ্যাক না হয়ে যায়, তার জন্য এই বেলা কিছু প্রাইভেসি আর সিকিউরিটি সেটিংস করে নেওয়া জরুরি।
প্রথমত, করতে হবে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন। তার জন্য প্রথমে হোয়াটস্অ্যাপ সেটিংস-এ গিয়ে অ্যাকাউন্ট, এবং তার থেকে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করে দিলেই হবে। এটা আপনার অ্যাপ-এ একটা বাড়তি সুরক্ষাবলয় যোগ করবে একটি পিনের মাধ্যমে।
দ্বিতীয়ত, জোর দিতে হবে প্রাইভেসি সেটিংস-এর উপরে। এর জন্য একই ভাবে প্রথমে সেটিংস, তার পরে অ্যাকাউন্ট এবং তার পরে প্রাইভেসি সেটিংসে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রোফাইলের লাস্ট সিন, প্রোফাইল ছবি ইত্যাদি আপনার কাদের দেখার সুযোগ দিতে চান, তা নির্দিষ্ট করা যাবে। একই ভাবে আপনার লাইভ লোকেশন-ও অবশ্যই অ্যাডজাস্ট করে রাখবেন।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফোনের ডিজ়অ্যাপিয়ারিং মেসেজ অপশনটিও অন করে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে নিজে থেকেই আপনার এবং আপনার বন্ধুর চ্যাট ২৪ ঘণ্টা বা সাত দিন কিংবা ৯০ দিনের মধ্যে ডিলিট হয়ে যাবে।
হোয়াটস্অ্যাপে গ্রুপ প্রাইভেসিও নিশ্চিত করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে আপনি না চাইলে আপনাকে কেউ কোনও গ্রুপে যোগ করতে পারবে না।
যে ভাবে আপনার ডিভাইসটি আপনি প্যাটার্ন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক করতে পারেন, একই ভাবে হোয়াটস্অ্যাপ ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি দিয়ে লক করে রাখা যেতে পারে।
এ রকম সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনার হোয়াটস্অ্যাপ, যেটি এই মুহূর্তে অত্যন্ত ব্যক্তিগত একটা অ্যাপ হয়ে উঠেছে, তা সুরক্ষিত থাকতে পারে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।