চন্দননগরে ঠাকুর দেখা ছাড়া জগদ্ধাত্রী পুজো যেন সম্পূর্ণ। চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা, দেবীর সাজ, প্যান্ডেলের কারুকার্য– কোনও কিছুই যেন বাদ দেওয়ার নয়। রইল সেরা কিছু পুজোর হদিশ। ঘরে বসেই দেখে নিন বিখ্যাত মণ্ডপগুলি।
১। কুণ্ডুঘাট দালান- পটলচেরা চোখ, ঠোঁটে ম্লান হাসি, সঙ্গে শ্বেতশুভ্র সাজ! দেবীর সাজসজ্জা থেকে যেন চোখ ফেরানো দায়!
চন্দননগর স্টেশনে নেমে সেখান থেকে কিছুটা পথ হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন কুণ্ডুঘাট দালানের পুজোর জায়গায়। সেই সঙ্গে নস্টালজিয়াতেও।
চার দিকে অগোছালো হয়ে থাকা চিঠিপত্র, খাম, সঙ্গে লেটারবক্স– সব কিছুই আপনাকে মনে করিয়ে দেবে ছেলেবেলার কথা।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান ছিল এই চন্দননগর। প্যান্ডেলসজ্জাতেও রয়েছে তারই ঝলক।
২। তালডাঙ্গা- ডাকের সাজের প্রতিমার পরনে সোনালি অলঙ্কার। তালডাঙ্গার দেবী জগদ্ধাত্রীর রূপ মুগ্ধ করবে দর্শনার্থীদের। চন্দননগরের কাছাকাছি থাকলে এক ঝলক দেখে আসতেই পারেন।
৩। বোড় পঞ্চাননতলা- নীলাভ-সাদা সাজে অপরূপা প্রতিমা। এই বছর ৫১তম বর্ষে পা দিল বোড় পঞ্চাননতলার এই পুজো।
প্যান্ডেলের কারুকার্য এবং অন্দরসজ্জা বাকরুদ্ধ করার মতো। হস্তশিল্প, চোখধাঁধানো আলোর বাহার– সব মিলিয়েই প্রতি বছরের মতো এ বছরও সেরা বোড় পঞ্চাননতলার পুজো।
৪। বোড়- যদি মনে করেন ঠাকুর দেখতে দেখতে কোনও রাজবাড়িতে ঢুকে পড়েছেন, তা হলে ভুল হবে! এটি প্রাসাদ-সমান প্যান্ডেল।
মণ্ডপসজ্জা দেখে আসল-নকলের পার্থক্যই ভুলে যাবেন। আর দেবীর সাজ নিয়ে নতুন করে বলার অপেক্ষা থাকে না।
দেবীর শ্বেতশুভ্র বেশ আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
৫। বেশোহাটা- পাট, শোলা এবং আরও অন্যান্য রকমারি সরঞ্জামে তৈরি সাজে স্বমহিমায় রঙিন দেবী জগদ্ধাত্রী। দর্শন পেতে কাতারে কাতারে ভিড় জমছে বেশোহাটায়।
৬। তেমাথা সর্বজনীন- বলা হয়, চন্দননগরের অন্যতম পুরনো পুজো হল এই তেমাথা সর্বজনীনের ‘রানিমা’র পুজো। এ বার তার ৭৯ বছরে পা। এখানে দেবীর রূপ এবং উচ্চতা– দুই-ই দেখার মতো।
৭। হরের পুকুর ধার- সামনে বসে আছেন সুবিশাল শিব, পিছনে দেবীর ঝলক! প্রতিমা দর্শনে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শকেরা।
৮। লিচুতলা- পরনে লাল বেনারসি, সোনালি অলঙ্কারে মোড়া প্রতিমা। দেবীদর্শন করতে হলে যেতেই হবে লিচুতলায়।
৯। গোপালবাগ- পদ্মের আসনে বসে আছেন দেবী। কোমর পর্যন্ত চওড়া হার, কানে শোভা বাড়াচ্ছে ভারী ঝুমকো।
সময় করে চলে যেতেই পারেন গোপালবাগের পুজো মণ্ডপে।
১০। নতুন তিলিঘাট- প্রতি বছরের মতো এ বারও দর্শকদের হতাশ করেনি নতুন তিলিঘাট।
এখানে দেবী জগদ্ধাত্রীর রূপ এবং সাজসজ্জাও এক কথায় অভূতপূর্ব। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।