Devi Choudhurani Mandir

গা ছমছমে দেবী চৌধুরানীর মন্দিরে মা কালী পূরণ করেন সকল ভক্তের প্রার্থনা

বাস্তব এবং কিংবদন্তি যখন মিলেমিশে যায়, তখন সৃষ্টি হয় অলৌকিক মুহূর্ত। সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চাইলে যেতে হবে জলপাইগুড়ির শিকারপুরে, দেবী চৌধুরানীর মন্দিরে।

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৩৬
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাস্তব এবং কিংবদন্তি যখন মিলেমিশে যায়, তখন সৃষ্টি হয় অলৌকিক মুহূর্ত। সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চাইলে যেতে হবে জলপাইগুড়ির শিকারপুরে, দেবী চৌধুরানীর মন্দিরে। জঙ্গলঘেরা এই জায়গায় আছে পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি কালীমন্দির। লাগোয়া মন্দিরটিতে আছে একটি পুরুষ ও নারী মূর্তি। তাদের ঘিরে আছে বাঘ, শিয়াল ও আরও কিছু বিগ্রহ।

Advertisement
ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর বিগ্রহ

ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর বিগ্রহ

ঐতিহাসিকরা মনে করেন এটি শিব-পার্বতীর মূর্তি। তবে স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই দু’টি বিগ্রহ ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসের চরিত্র ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর নাম শোনেননি, এমন বাঙালি কমই আছেন। লেখনীর গুণে জীবন্ত হয়ে ওঠা এই দুই চরিত্র কখন যে ইতিহাসের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছে, তা বলা কঠিন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরেও একটি বজরা সংরক্ষণ করা আছে। মনে করা হয়, এটি দেবী চৌধুরানীর বজরা।

দেবী চৌধুরানীর মন্দিরে মা কালী

দেবী চৌধুরানীর মন্দিরে মা কালী

এখানকার কালীমন্দিরও কিন্তু জাগ্রত। প্রায় ৩৫০ বছরেরও পুরনো এই মন্দিরে বছরে দু’বার, আষাঢ় এবং কার্তিক মাসে নিয়ম করে পুজো করা হয়। কালীপুজোর দিনে আশেপাশের বহু মানুষ ঝোপ-জঙ্গলে ভরা এই মন্দিরে যান রাত জেগে পুজো দেখতে। ভক্তদের বিশ্বাস, মা কালীর কাছে প্রার্থনা করা হলে তিনি সকলের ইচ্ছাই পূরণ করেন। এখানকার গা ছমছমে পরিবেশে রাতভর কালীপুজো দেখার অভিজ্ঞতা একেবারেই অন্য রকম।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আরও পড়ুন
Advertisement