‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা/যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা/যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা/আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা!’ ভাইফোঁটা মানেই দিদিদের-বোনেদের মুখে মুখে এই ছড়ার উচ্চারণ।
যম ও যমুনা, দুই ভাই-বোনের অটুট বন্ধনের কথা স্মরণ করেই ভাইয়ের কপালে সুরক্ষার ফোঁটা দেওয়া হয়।
কিন্তু জানেন কি, যম-যমুনা এই দুই ভাইবোনের নামে এক মন্দিরও আছে, তাও আবার শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমিতে?
মথুরার সব থেকে পুরনো মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম এটি। শোনা যায়, প্রায় ৪৯০০ বছর আগে কৃষ্ণের নাতি বজ্রনাথ এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন।
এই মন্দিরটি দ্বারকাধীশ মন্দিরের কাছে বিশ্রাম ঘাট থেকে মাত্র কিছু মিটার দূরেই অবস্থিত।
মন্দিরের মূল কক্ষের মধ্যিখানে কালো পাথরে যম ও যমুনার মূর্তি রয়েছে। এই বিগ্রহ দু’টি আশীর্বাদ দেওয়ার ভঙ্গিতে হাত তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
কথিত আছে, যমুনা যমকে রাতের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। হিন্দু রীতি অনুসারে, খাওয়ার পর যম যমুনাকে তাঁর কাছে কিছু চাইতে বলেন। কিন্তু যমুনার কোনও পার্থিব, বস্তুগত ইচ্ছা ছিল না, তাই তিনি তাঁর কাছ থেকে শুধু চিরন্তন আশীর্বাদই চেয়েছিলেন।
বলা হয়, ভাইফোঁটা অথবা ভাই দুজের দিন যদি বিশ্রাম ঘাটে স্নান করা যায়, তাহলে পুণ্য লাভ হয়।
তাই এই দিন অনেক মানুষের সমাগম হয় এখানে। ভাই-বোন একসঙ্গে হাত ধরে মোক্ষ লাভের আশায় এখানে ডুব দেয়। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।