Effects of Firecracker in Skin

আতশবাজির উৎসবে তো মেতে উঠবেন, ত্বকের যত্নে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করবেন?

পশুপাখি থেকে, বৃদ্ধ, অসুস্থ বা অশক্ত মানুষ– আতশবাজিতে ভয় পান অনেকেই। কালীপুজো বা দীপাবলির পরে ত্বকের চিকিৎসক অথবা বিভিন্ন হাসপাতাল-নার্সিংহোমে আগুনে পুড়ে যাওয়া মানুষের ভিড় বাড়ে। আতশবাজি ব্যবহারের আগে এবং পরে কতটা সাবধান থাকবেন, ত্বকের কী কী যত্ন নেবেন, জেনে রাখুন আগেভাগে।

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৪০
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

কালীপুজো এবং দীপাবলি আসন্ন। উৎসব-নিশিতে আলোয় ঘরবাড়ি সাজিয়ে আতশবাজি পোড়ানোয় মেতে ওঠেন ছোট বড় সকলেই। কলকাতা-সহ গোটা দেশে দীপাবলিতে সেই সঙ্গে শব্দবাজিও ফাটে দেদার। যার অবশ্যম্ভাবী ফল দূষণ। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এই শব্দবাজি বা আতশবাজি শরীরে ও ত্বকে কী রকম প্রভাব ফেলছে জানেন?

Advertisement

পশুপাখি থেকে, বৃদ্ধ, অসুস্থ বা অশক্ত মানুষ– আতশবাজিতে ভয় পান অনেকেই। কালীপুজো বা দীপাবলির পরে ত্বকের চিকিৎসক অথবা বিভিন্ন হাসপাতাল-নার্সিংহোমে আগুনে পুড়ে যাওয়া মানুষের ভিড় বাড়ে। আতশবাজি ব্যবহারের আগে এবং পরে কতটা সাবধান থাকবেন, ত্বকের কী কী যত্ন নেবেন, জেনে রাখুন আগেভাগে।

সুদূর অতীত থেকেই বিস্ফোরক পদার্থ হিসেবে কামান-বন্দুকে বারুদের ব্যবহার সর্বত্র। সেই বারুদই আতশবাজির মধ্যেও দেওয়া হয়। তুবড়ি, রংমশাল বা চরকির মুখে আগুন ধরিয়ে দিলে, বারুদ জ্বলে ওঠে। আগুনের ফুলকি ফোয়ারার মতো ছিটকে বেরতে থাকে। সঙ্গে বেরোয় সালফার ডাই অক্সাইড এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডের মতো গ্যাস, যা হার্ট এবং ফুসফুসের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। বাজির দূষণ দূরারোগ্য চর্মরোগের পাশাপাশি এবং ফুসফুস বা যকৃতের রোগও ডেকে আনতে পারে।

বাজি ফাটানোর আগে যে যে বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন–

পোশাক নির্বাচন কালীপুজোর দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই সুতির পোশাক পরুন, সিন্থেটিক বা সিল্ক নয়।

নারকেল তেল ত্বকে জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। আতশবাজির আগুনে শরীরের কোনও অংশ পুড়ে গেলে প্রথমে নারকেল তেল লাগান। জ্বালা ভাব অনেকটা কমবে।

ঠান্ডা জল, অ্যান্টিবায়োটিক মলম, নিদেনপক্ষে হাতের কাছে টুথপেস্ট থাকলে তা লাগালেও পোড়ার জ্বালা একটু কমে।

ত্বকের কোনও অংশ পুড়ে গেলে ক্ষতস্থান ঠান্ডা জলে ধুয়ে প্রথমেই অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগাতে হয়।

আলোর উৎসবের আগে-পরে ত্বকের যত্নে যে কাজগুলো জরুরি:

পেট্রোলিয়াম জেলির মতো কোনও ঘন ক্রিম আতশবাজি ব্যবহারের আগে হাতে-পায়ে মেখে নেওয়া

যতটা সম্ভব শরীরের প্রতিটি অংশ ঢেকে রাখা

আতশবাজি ব্যবহারের পরে হাত পা ধুয়ে বডি লোশন বা ময়শ্চারাইজার মাখা

আতশবাজি ব্যবহারের করার পর মুখে স্ক্রাবিং

বরফ জলে মুখ ধোয়া

হালকা কোনও ফেসওয়াশ ব্যবহার

স্কিন ব্রাইটেনিং সেরাম ব্যবহার

প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া

চুল এবং ঠোঁটের সমান যত্ন নেওয়া

ঠোঁটে লিপ বাম লাগানো

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোডাক্ট ব্যবহার

ত্বক দ্রুত সারিয়ে তোলার জন্য খাওয়াদাওয়ায় নজর দেওয়া

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া

বারবার মুখের ত্বকে হাত না দেওয়া

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এবং বিশ্রাম

এবং প্রয়োজনে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

আরও পড়ুন
Advertisement