পুজোর গোটা মাস জুড়ে রেস্তরাঁয় গিয়ে দেদার ভূরিভোজ আর রাত জেগে ঠাকুর দেখা, সবমিলিয়ে স্বাস্থ্যের অবস্থা কিছুটা বেহাল তো বটেই। ভাটা পড়েছে দীর্ঘদিন ধরে গরে তোলা স্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রাতেও। সঙ্গে বোনাস বাড়তি ওজন! ভাবছেন খাওয়াদাওয়ায় কার্ফু বসিয়ে চটজলদি ওজন কমাবেন? না, সেই ভুল করবেন না। অনশনে না থেকে বদল আনুন খাওয়াদাওয়ার রুটিনে। এতে শরীরের ক্লান্তিও দূর হবে এবং উৎসবের জৌলুস ফিকে হলেও বজায় থাকবে আপনার চেহারার লাবণ্য!
ঘন দুধের চা আর বিস্কুট ছাড়া সকাল শুরু হয় না? শরীরের ভাল চান তো এখনই আড়ি করুন তাদের সঙ্গে। বরং আমলকিকেই বানান আপনার মর্নিং পার্টনার। একটি ব্লেন্ডিং জারে একটি আমলকি, কিছুটা আদা, কিছুটা কাঁচা হলুদ নিন এবং মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটিকে একটি পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে এর রসটা পান করুন সকালে উঠেই একদম খালি পেটে। ত্বক, চুল এবং লিভারের পরিবর্তন চোখে পড়বে আপনার নিজেরই।
চা ছাড়া যদি এক মুহূর্তও না চলা যায়, তা হলে লাল চা কিংবা দুধ চায়ের পরিবর্তে পান করুন গ্রিন টি। স্বাদে খুব একটা ভাল না হলেও এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। যা আপনার বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করবে খুবই।
কাঁচা রসুনের উপকারিতা লিখে শেষ করা যাবে না। পুজোর মাসে বাইরের খাওয়াদাওয়া, অনিয়মের পর লিভারের দিকে একটু নজর দিন। প্রতিদিন খান রসুন। রসুন কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
আমিষ কিংবা নিরামিষ, যেটাই খান না কেন, তাতে যেন অবশ্যই তেলমশলার পরিমাণ কম থাকে। অলিভওয়েল ব্যবহার করতে পারেন রান্নায়।
প্রতিদিনের খাবারের পাতে যদি টক দই খাওয়ার অভ্যেস থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। এর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা আপনার শরীরে যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। ছোটবেলায় তো পড়েই ছিলেন বইতে যে দইয়ের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ব্যাক্টেরিয়া।
স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই তা স্বাদের দিক থেকে মন মতো হবে না, তা কে বলেছে? ওটস্-এর সঙ্গেই পাবেন হরেকরকম খাবারের রেসিপি। ওটস্-এর সঙ্গে ডিম দিয়ে বানিয়ে ফেলুন অমলেট। কিংবা বিভিন্ন সবজির সঙ্গে বানাতে পারেন ওটস্-এর পোলাও।
অনেক তো হল মশলাদার খাওয়ার। সে সব সরিয়ে রেখে প্রচুর পরিমাণে ফল খান। দুপুরে খাওয়ার পরে খেতে পারেন। কিংবা মিড মর্নিং ফলের মধ্যেও রাখতে পারেন আপেল, কলা, আনারস, লেবু ইত্যাদি। ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো স্বাস্থ্যকর সব উপাদান প্রতিদিন আপানার শরীর নিতে থাকলে স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ চিন্তা করতে হবে না আপনাকে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।