প্রতীকী ছবি।
হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমাতে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ৩-৪টে জলে ভিজানো কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেক পুষ্টিবিদ। প্রোটিন এবং ফাইবারে ভরপুর কাঠবাদাম বিকেলের খুচরো খিদের জন্যেও ভাল। কিন্তু পেটের মেদ ঝরাতেও যে দারুণ উপকারী কাঠবাদাম তা অনেকেই জানেন না। পুজোর আগে বাঙালি একটু নড়েচড়ে বসেন। চেষ্টা করেন একটু স্বাস্থ্যসচেতন খাওয়াদাওয়া করার। সকালে ঘুম থেকে উঠে একটু হাঁটতে যাওয়ার চেষ্টাও এখন বেড়ে যায়। তবে দ্রুত ওজন কমাতে হলে কাজে দেবে কাঠবাদামও।
‘ইন্টার্ন্যাশন্যাল জার্নাল অব ওবিসিটি’-তে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে খাদ্যাতালিকায় কাঠবাদাম থাকলে, তার থেকে ৩৯ শতাংশ ‘গুড ফ্যাট’ পায় শরীর। তা হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভাল। যাঁরা কাঠবাদাম খান না, তাঁদের রোজের খাবার থেকে মিলবে মোটে ১৮ শতাংশ ‘গুড ফ্যাট’। একই গবেষণায় জানা গিয়েছে, কাঠবাদাম শুধু ওজন ঝরাতেই সাহায্য করে না, পেটের মেদও কমাতেও সমান উপকারী।
ওজন ঝরানোর সময়ে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা অল্প পরিমাণে খেলেও পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি থাকবে। কাঠবাদাম তা করতে সক্ষম। শরীরে বিপাক হার বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে সাহায্য করে এই বাদাম।
কখন খেলে উপকার পাবেন
বিকেলে খিদের সময়ে কিংবা কাজ করতে করতে হঠাৎ যদি টুকটাক খাওয়ার ইচ্ছে হয়, তা হলে অস্বাস্থ্যকর চিপ্স বা বিস্কুট-কুকি না খেয়ে একমুঠো কাঠবাদাম খেতে পারেন। তাতে চট করে খিদে মিটে যাবে।
কী ভাবে খাবেন
সারা রাত জলে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। তা ছাড়াও সরু করে কেটে বা গুঁড়ো করে স্মুদি বা পরিজের মধ্যে দিয়েও খেতে পারেন। বাদাম পিষে দুধ বার করে খেতে পারেন। যাঁদের দুগ্ধজাত খাবারে অসুবিধা হয়, তাঁদের জন্য কাঠবাদামে দুধ দারুণ বিকল্প। যাঁদের মিষ্টি না হলে চলে না, তাঁরা বাড়িতে কোনও স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খাবার তৈরি করলে তাতে নির্দ্বিধায় কাঠবাদাম দিতে পারেন। স্যালাডের মধ্যেও কাঠবাদাম কেটে দিতে পারেন।