ছটপুজোর প্রসাদ মানেই ঠেকুয়া। আটা, নারকেল এবং গুড়ের সমন্বয়ে বানানো এই খাস্তা মিষ্টিটি ছোট-বড় সকলের প্রিয়।
কিন্তু শুধুমাত্র ঠেকুয়া নয়। ছটপুজোর দিন আরও অনেক সাবেকি রান্নাও করা হয়, যেগুলি ভোগ হিসাবে সূর্যদেব এবং ছঠি মাইয়াকে নিবেদন করা হয়।
ঘি সবজি এবং ভাত: মাটির পাত্রে ঘি দিয়ে লাউয়ের সবজি বানানো হয়। এই সবজির উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এটি বানানোর সময়ে শুধুমাত্র গঙ্গাজল ব্যবহার করা হয়। এর পরে এই সবজি সহযোগে গরম ভাত পরিবেশন করা হয়।
সবুজ চানার ঘুগনি: সারা রাত চানা ভিজিয়ে রেখে সকালে ঘি, গোটা জিরে এবং কাঁচা লঙ্কা দিয়ে এই পদটি বানানো হয়।
রাসিয়া: চাল এবং গুড় দিয়ে বানানো হয় এই সুস্বাদু পায়েসটি। বানানোর পরে গরম পুরির সঙ্গে ভোরবেলায় এটি সূর্যদেবকে নিবেদন করা হয়।
কাসার: চালের গুঁড়ো অথবা আটার সঙ্গে গুড়, ঘি এবং মৌরি মিশিয়ে এই বিশেষ লাড্ডুটি বানানো হয়। বিভিন্ন উপকরণের এই সংমিশ্রণ ঠান্ডার সময়ে শরীরকে গরম রাখে। স্বান্ধ্য অর্ঘ্য হিসাবে এটি নিবেদন করা হয়।
চানা ডাল: ঘিয়ের মধ্যে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো ফোড়ন দিয়ে আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা এই ডাল বানানো হয়।
পুরি: বাঙালির প্রিয় লুচির মতোই, কিন্তু তার থেকে একটু মোটা এই পুরি বানানো হয়, যা রাসিয়া, ঘি সবজি অথবা চানা ডালের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
ভাত: বাসমতি চালের ভাতও অর্ঘ্য হিসাবে নিবেদন করা হয়। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।