পুজোর রেসিপি দিলেন অমৃতা
সবার কাছে পুজো মানে ভোগের খিচুড়ি, তরকারি। পুজো মানেই রোল, ফুচকা, চাউমিন। বিরিয়ানি, মাংস ছাড়া পুজো যেন ফাঁকা! এগুলো আমার কাছেও অতি জরুরি। কিন্তু চারটে দিনের একটি দিন পাতে অন্য ‘মোগলাই খানা’ না পড়লে পেট, মন কোনওটাই যেন ভরে না! তাই যে কোনও এক দিনের এক বেলা আমি উৎসর্গ করি মোগলাই পরোটা আর কষা আলুর দম-কে। এ বছরের পুজোয় এই যুগলবন্দি আপনি ‘ট্রাই’ করবেন কি?
কিমা মোগলাই পরোটা
কী কী লাগবে
মটন কিমা দু’কাপ
ময়দা দু’কাপ
সাদা তেল দুই টেবিল চামচ
নুন
পেঁয়াজ কুচি অর্ধেক
কাঁচালঙ্কা কুচি দু’টি
আদা-রসুন বাটা এক চা-চামচ
হলুদ-লঙ্কা-জিরে-ধনে-গরম মশলা গুঁড়ো-আমচুর-খাওয়ার সোডা আধ চা-চামচ করে
কী ভাবে রাঁধবেন:
ময়েন দিয়ে ময়দা মেখে পাতলা কাপড়ে জড়িয়ে রেখে দিন। তাওয়ায় তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ভাজতে দিন। নরম হয়ে এলে সমস্ত মশলা দিয়ে কষতে থাকুন। তেল ছেড়ে এলে মাটন কিমা দিয়ে দিন। ঢিমে আঁচে ঢাকা দিয়ে ভাল করে রান্না করুন। কিমা নরম হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এ বার মেখে রাখা ময়দা থেকে বড় লেচি কেটে নিন। ছড়িয়ে গোল পরোটা আকারে বেলে নিন। এ বার মাঝখানে কিমার পুর ভরে চার দিক ভাঁজ করে নিন। পরোটা যেন চৌকো দেখতে হয়। দরকারে মুখগুলো অল্প করে মুড়ে দেবেন। এ বার তাওয়ায় তেল গরম করে পরোটা ভাজতে দিন। মাঝে মাঝে তেল দিয়ে উলটে পালটে নেবেন। হালকা সোনালি রং ধরলেই নামিয়ে নিন।
কষা আলুর দম
কী কী লাগবে
ছোট আলু ৫০০ গ্রাম
পেঁয়াজ কুচি এক কাপ
আদা-রসুন বাটা দুই চা-চামচ করে
টম্যাটো কুচি একটি
সমস্ত গুঁড়ো মশলা আধ চা-চামচ করে
নুন-চিনি স্বাদমতো
ঘি দেড় টেবিল চামচ
সাজানোর জন্য ধনেপাতা কুচি
কী ভাবে বানাবেন
আলু আধসেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। তেল বা ঘি গরম করে তাতে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বেরোলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। ঢিমে আঁচে ভাজতে থাকুন। নরম হলে গেলে টম্যাটো দিন। সবটা ভাজা ভাজা হলে বাকি গুঁড়ো এবং বাটা মশলা দিয়ে কষতে থাকুন। তেল ছেড়ে এলে দু'কাপ গরম জল দিয়ে ফুটতে দিন। ঝোল একটু ঘন হলে আলু দিয়ে দিন। গ্রেভি ফুটে গা-মাখা হলে উপরে ঘি, ধনেপাতা, পেঁয়াজ কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখার পর পরোটার সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।