যে কোনও অনুষ্ঠানে বাঙালির ঘরে প্রিয় যে সব মিষ্টি মজুত থাকে, তারই অন্যতম বালুসাই।
দশমীর বিকেল থেকেই শুরু হয়ে যায় সিঁদুর খেলা। এবং মন ভরে সিঁদুর মাখার পরেই খোঁজ পড়ে মিষ্টির। উৎবের শেষবেলায় মিষ্টিমুখ না করলে কি আর চলে! আগের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজয়ায় প্রণামের করার চল এখন হারাতে বসেছে। তবু কিছু আত্মীয়-বন্ধুবান্ধব এখনও এই দিনে বাড়ি আসেন। অতিথি আপ্যায়নে চাই মিষ্টিমুখ। যে কোনও অনুষ্ঠানে বাঙালির ঘরে প্রিয় যে সব মিষ্টি মজুত থাকে, তারই অন্যতম বালুসাই।
দোকান থেকে কেনাই যায়। কিন্তু যদি বানিয়ে ফেলেন বাড়িতেই, অতিথিরা আরও আনন্দ করে খাবেন নিশ্চিত। জেনে নিন বালুসাইয়ের সহজ রেসিপি।
উপকরণ
ময়দা: ১৭৫ গ্রাম
চিনি: ১৭৫ গ্রাম
বেকিং সোডা: ১/৪ চা চামচ
ঘি: ২ চা চামচ
দই: ৩/৪ চা চামচ
পেস্তা কুচি: পরিবেশনের জন্য
ঘি: ভাজার জন্য
খোয়া ক্ষীর: পুরের জন্য
প্রণালী
প্রথমে শুকনো উপকরণগুলি মেখে নিতে হবে। সামান্য নুন, বেকিং সোডা আর ময়দা একসঙ্গে মিশিয়ে চেলে নিতে হবে।
তারপর দই নিয়ে তাতে ভাল করে ঘি মিশিয়ে নিতে হবে।
এ বার ময়দা মাখার পালা। ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে ময়দা মেখে নিন। তার পর একটি পাত্রে রেখে পাতলা কাপড়ে মুড়ে কিছু ক্ষণ ঢেকে রাখুন।
অন্য একটি পাত্রে চিনি জ্বাল দিয়ে রস তৈরি করুন। তা ফুটতে দিন কিছু ক্ষণ।
এর পর মাখা ময়দা থেকে ছোট ছোট টুকরো করে নিয়ে বল তৈরি করতে হবে। সেই বলগুলির মাঝে আঙুলের চাপে গর্ত করে নিতে হবে।
এ বার সামান্য খোয়া ক্ষীর সেই গর্তে ভরে বলের মুখে ফের চাপ দিয়ে বুজিয়ে দিন।
কড়াইয়ে ঘি দিয়ে গরম করুন। তাপমাত্রা সামান্য কমলে কয়েকটা করে ময়দার বল কড়াইয়ে ছেড়ে ভেজে নিন। দু-পিঠই ভাল করে ভেজে নেবেন। মিনিট ১৫ সময় লাগবে। ভাল ভাবে ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিন বলগুলি।
ভাজা বল ঠান্ডা হয়ে এলে এ বার রসে ফেলে দিন। কিছু ক্ষণ রেখে দিন যাতে ভাল ভাবে রস ভিতরে ঢুকে ভাল করে ফুলে যেতে পারে। ব্যস! বালুসাই তৈরি। পরিবেশনের আগে উপর থেকে ছড়িয়ে দিন কিছু পেস্তা কুচি। সুস্বাদে বাহারের ছোঁয়া!