ফুচকার নাম শুনলে জিভে জল আসে না, এমন খাদ্যরসিকের দেখা মেলা ভার! উৎসবের মরসুমে ভিড় জমছে বিভিন্ন স্টলে। সেদ্ধ আলু-ছোলার সঙ্গে মশলার মাখামাখিতে তেঁতুল জলের সঙ্গত, মুখে দিলেই স্বর্গ!
যদিও ফুচকার উপর একচেটিয়া অধিকার বর্তমানে কেবল আলুর পুর বা টকজলেই সীমাবদ্ধ নেই, খাদ্যরসিক বাঙালি এখন স্বাদ চিনেছে আইসক্রিম কিংবা চিকেনে ভরপুর ফিউশন ফুচকারও।
প্রতিনিয়ত ফুচকা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা তো বেড়েই চলেছে। কিন্তু জানেন কি কলকাতায় প্রথম ফিউশন ফুচকার জন্মদাতা কে? আলুর দম ফুচকা, চকোলেট ফুচকা থেকে শুরু করে চিকেন, মটন এমনকি পিৎজা ফুচকারও কারিগর দিলীপদা।
চার প্রজন্মের ব্যবসা। অত্যন্ত ভালবাসা এবং যত্নের হাতে মাখা আলু-টকজলের সঙ্গে ফুচকার কামড় দিলেই বলতে বাধ্য হবেন, ‘এককথায় লা জবাব’!
দিলীপবাবুর তৈরি ফিউশন-ফুচকা চেখে দেখতে দূরদূরান্ত থেকেও ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। এমনকি টলিউড, বলিউডের তাবড় তাবড় তারকারাও। এই ফুচকার স্বাদ নিয়েছেন মুম্বইয়ের জনপ্রিয় তারকা-শেফ রণবীর ব্রারও।
আনারদানা ফুচকা, ফ্রুট জুস ফুচকা, চিকেন ফুচকা, মটন ফুচকা, প্রন ফুচকা, ইলিশ ফুচকা, চিংড়ি মালাই ফুচকা, বাটারস্কচ ফুচকা… লিখে সব শেষ করা যাবে না। নিজের চোখেই দেখে নিন বরং।
সামনেই দীপাবলি। যদি কলকাতার আশেপাশে থাকেন, হরেকরকম ফুচকা চেখে দেখতে গেলে আসতেই পারেন বিবেকানন্দ পার্ক (সাদার্ন অ্যাভিনিউ)-এর কাছে। পেয়ে যাবেন বিখ্যাত দিলীপদার ফুচকার দোকানের খোঁজ। যার পোশাকি নাম ‘মহারাজা চাট সেন্টার’। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।