পরীদের দেশের কথা রূপকথার গল্পে তো পড়েছেন। কিন্তু পরীদের কেকের কথা শুনেছেন কখনও? হ্যাঁ, এমন কেকও আছে, যা নাকি পরীদের খাদ্য!
তবে ইংরেজি থেকে বাংলা করলে, বিষয়টাকে পরীদের খাদ্য না বলে দেবদূতদের খাদ্যও বলা যেতে পারে। কারণ ইংরেজিতে এর নাম ‘এঞ্জেল ফুড কেক’। এক প্রকার স্বর্গীয় কেক বলেই এটিকে ধরে নেওয়া হয়।
এ বার আসা যাক এর ইতিহাসে। যে কোনও খাবারের ইতিহাস তার রেসিপির মতোই রহস্যে ভরা। এ ক্ষেত্রে এঞ্জেল ফুড কেকের ক্ষেত্রেও কথাটি একেবারে সত্যি।
যত দূর জানা যায়, ১৮৭০ সাল নাগাদ এই কেকের আবিষ্কার। এর বিশেষত্বই হল এতে কোনও মাখন থাকে না।
যত দূর জানা যায়, ১১টা ডিমের সাদা অংশ, চিনি, ময়দা, ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট, টার্টার ক্রিম মিশিয়ে বিশেষ কায়দায় তৈরি হয়েছিল এই কেক। তবে পরবর্তীকালে এর রেসিপিতে এসেছে নানা বদল। কিন্তু মাখন কখনও এর মধ্যে ঢুকে পড়েনি।
এ বার প্রশ্ন হল, এর এহেন নামের কারণ কী? তা কি শুধু দুর্দান্ত স্বাদের জন্য? না, শুধু তা নয়। এই কেকের বৈশিষ্ট্য হল এর ওজন। এটি সম্পর্কে বলা হয়, এই কেকের ওজন যত কম, তা ততই সুস্বাদু। পালকের মতো ওজন হয় এই কেকের। এবং সেই কারণেই এটির এমন নামকরণ।
১৯৮৮ সালে এই কেককে ঐতিহাসিক খাবারের সম্মান জানানো হয় নিউ ইয়র্ক টাইমসের খাবার সংক্রান্ত খবরের পাতায়। তার সম্পর্কে বলা হয়, ‘ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা কেক, এঞ্জেল ফুড কেক’।
তার পর থেকে এর জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। বর্তমানে নানা দেশেই এই কেক পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।