জমিয়ে সাজার সেরা সময় দুর্গাপুজো। কিন্তু কোন সাজ এ বার সবচেয়ে বেশি চলছে? দেখে নিন এক ঝলকে।
একটু জমকালো না সাজলে কি আর পুজো জমে? সালোয়ার, কুর্তি পালাজো তো সারা বছরই পরেন। তাই পুজোর সময়ে কারুকাজ করা লম্বা জ্যাকেট বা কিমোনো বা অফ-শোল্ডার কুর্তার সঙ্গে ঘেরওয়ার স্কার্ট বা পালাজো পরতে পারেন।
রং বাছুন পুজোর আমেজ মাথায় রেখে। প্যাস্টেল রঙের পোশাক হলে চুমকি, কাচ বা জরির কারুকাজ চলতে পারে। গাঢ় রং হলে একটু হাল্কা কাজে পোশাক কিনুন। নয়তো ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা মুশকিল।
মেটালিক রং এ বছর খুব চলছে। সোনালি-রূপোলির বাইরেও রোজ গোল্ড, তামাটে রং, বা পিতলের রং দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। উৎসবের মরসুম জমিয়ে দেবে এই রংগুলি।
অ্যানিম্যাল প্রিন্টও কয়েক বছর ধরেই দারুণ চলছে। মূলত পশ্চিমি পোশাকেই এর আধিক্য দেখা যায়। কিন্তু শাড়ি বা কুর্তিতেও ভীষণ গ্ল্যামারাস লাগে এই প্রিন্ট। বিশেষ করে ক্রেপ বা স্যাটিনের শাড়িতে এই প্রিন্ট ভাল লাগে।
পুজোয় যদি লেহঙ্গা পরতে চান, তা হলে একটু অন্য রকম লেহঙ্গা স্কার্ট আর টপ পরতে পারেন। খুব বেশি কারুকাজ দেওয়া লেহঙ্গার পুজোয় বেমানান লাগতে পারে। তাই একটু হাল্কা কারুকাজের লেহঙ্গাই বেছে নিন।
লেহঙ্গা স্কার্ট এবং টপ পরলে তার সঙ্গে সাজ কী রকম হবে, তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চুল বাঁধা, গয়না, মেকআপ হওয়া চাই মানানসই। পোশাকে যদি হাল্কা কারুকাজ থাকে, তা হলে একটু ভারী গয়না পরতেই পারেন। কানে ভারী চাঁদবালী বা ঝুমকো পরলে, গলায় কিছু না পরলেও চলবে।
অষ্টমীর সন্ধ্যাতে যেহেতু একটু জমকালো সাজ চলে, তাই লেহঙ্গা পরলে ওই দিনটাই বেছে নিন। সঙ্গে মানানসই জুতো পরুন। হিল দেওয়া জুতি পরে হাঁটতে অসুবিধা হলে কারুকাজ করা রাজস্থানী জুতো পরতে পারেন।
নবমী রাতে পার্টি রয়েছে? তা হলে পশ্চিমী পোশাক চলতেই পারে। লাল বা কালোর মতো একটু সাহসী রং বেছে নিন। ‘স্ট্রাকচার্ড ড্রেস’ এখন খুব চলছে। এই পোশাকে শারীরিত গঠন আরও ভাল ফুটে ওঠে। সঙ্গে কোনও একটা নজর কাড়া গয়না পরুন। হয় বড়সড় কানের দুল বা ব্রেসলেট।
মডেল: স্নেহা বসু, ছবি: দেবর্ষি সরকার, রূপটান শিল্পী: অভিজিৎ চন্দ, সাজ: সৌম্য নন্দি, ভাবনা ও পরিবেশন: পৃথা বিশ্বাস, স্থান: দ্য ওয়েস্টইন কলকাতা