বহু বহু বছর ধরে চলিতং এবং চলিতং। সেই ষাটের দশকে ‘কাশ্মীর কি কলি’ থেকে এই হালের ‘গদর-২’ পর্যন্ত ছড়ানো তার লম্বা সড়ক।
০৩১১
সেই রোম্যান্টিক রোমাঞ্চের স্বাদ নিতে সঙ্গীকে নিয়ে এত দিন বাঙালি খরচাপাতি করে ছুটেছে কাশ্মীর। ছুটছেও।
০৪১১
এ বার সেই স্বাদ আর সাধ মেটাতে বাংলাতেও কাশ্মীরের ডাল লেকের মতো শিকারা ভাসছে কংসাবতী নদীতে।
০৫১১
তাই ভূস্বর্গ না সম্ভব হলে, এবার মেদিনীপুরে চলুন শিকারার মিষ্টি জলভ্রমণের ওম নিতে।
০৬১১
পরিষেবা দিচ্ছে মহিলাদের স্বনির্ভর একটি গোষ্ঠী। বিশাল তিন একর জায়গা এবং ১০ কোটি টাকা খরচ করে মেদিনীপুরে শিকারার স্বাদ দিতে হাজির হয়েছেন একদল উদ্যোগী মানুষ।
০৭১১
কংসাবতী নদী। স্থানীয় নাম কাঁসাই। তার জলে কাশ্মীরের ডাল লেকের মতো শিকারায় চেপে ঘোরার স্বাদ নিতে পারবেন এই রাজ্যের পর্যটকেরা।
০৮১১
ভাসতে ভাসতে বলিউডি সিনেমা মনে পড়বেই আপনার। কাঁসাইয়ের বুকে টলমল জলে নিজেকে ঋত্বিক রোশন, সঙ্গিনীকে প্রীতি জিন্টা ভাবতে ক্ষতি কি! ‘চুপকে সে শুন ইস পল কি ধুন’ গানটা মনে পড়ছে? নির্ঘাত পড়ছে মনে!
০৯১১
তবে চলুন এবার পুজোয় কাঁসাইয়ে ভাসতে! জঙ্গলমহল অধ্যুষিত এলাকা মেদিনীপুর ও খড়গপুর সংযোগস্থল কংসাবতী নদী হোক আপনার পুজোর ‘ডাল লেক’।
১০১১
কাঁসাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে প্রাচীন কাহিনি। কালিদাসের গ্রন্থে এ নদীর নাম কপিশা। গুগল বলছে, ‘সমুদ্রের কাছে বাগদত্তা কংসাবতী কৃষ্ণ দামোদর নদের রূপে আলিঙ্গন করতে ছুটে এলে কংসাবতী দ্রুত ধাবমান হয়ে সমুদ্রে মিলিত হয়।’
১১১১
কংসাবতী নদীর ধারেই ফুরুন্দা গ্রাম। সেই গ্রামেই রয়েছে এক ‘অ্যাডভেঞ্চার পার্ক’। সেখানে থাকা বা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর, সাধারণ ঘর, এমনকি তাঁবুতেও থাকতে পারেন। বিকেল বেলা সূর্যাস্ত দেখতে শিকারা চেপে যাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।