প্রকৃতিও এখানে উপুড় করে দিয়েছে অপার সৌন্দর্যকে। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিহারীনাথ পাহাড়ের রং পাল্টায়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে লালে লাল। সে সময় পাহাড়ের গায়ে থরে থরে লাল পলাশ ফুলের শোভা দেখবার মতো। বর্ষায় আবার বিহারীনাথ পাহাড় সবুজে সবুজ। বিভিন্ন প্রজাতির গাছ তখন আরও সতেজ সবুজ, আরও ঘন। এখানকার পাহাড় পথে চলার মাঝে দেখা পেতে পারেন শেয়াল, খরগোশ, গিরগিটি থেকে শুরু করে বুনো শুয়োর, বনরুই এমনকি হায়নাও!
বিহারীনাথ ভ্রমণে ট্রেন ও সরাসরি গাড়িতে, দু'ভাবেই যাওয়া রায়। ট্রেনে আসানলোল লাইনে মধুকুন্ডা স্টেশনে নেমে গাড়িতে আরও ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে বিহারীনাথ। রানিগঞ্জ স্টেশনে নেমেও গাড়িতে পৌঁছনো যায় বিহারীনাথে। অথবা ছাতনা থেকে সরকারি বা বেসরকারি বাসেও যাওয়া যায়। সরাসরি গাড়িতে গেলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেস সড়কপথে দামোদর নদী পেরিয়ে মধুকুন্ডার রেল ক্রসিং থেকে আরও ১৬ কিলোমিটার।
লোকগাথা অনুসারে ভূতাবুড়ির ছয় বোন, এক ভাই। সবচেয়ে বড় বোন ঘাঘরাবুড়ি। আসানসোলে কালীপাহাড়ের কাছে ঘাঘরাবুড়ির থান। দেবীকে ঘাঘরা পরানো হয়, সেই থেকে নাম ঘাঘরাবুড়ি। নুনিয়া নদীর ধারে তিনটে শিলাকে দেবী চন্ডীর প্রতিভূ মনে করে ঘাঘরাবুড়ির পুজোর্চনা হয়ে আসছে যুগ-যুগান্ত যাবত। এখানে পয়লা মাঘ এবং শ্যামাপুজোয় বড় উৎসব হয়। বিরাট মেলা বসে। সেখানে কাঠের উনুনের আগুনে মাটির বিশাল মালসায় জাল দিয়ে-দিয়ে ফোটানো ঘন দুধ একবার খেলে তার আস্বাদ জীবনে ভোলার নয়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy