Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Travel Destinations in Festive Season

দক্ষিণ ভারতের আশ্চর্য ধ্বংসাবশেষের শহর দর্শন হাম্পি, এই শীতে হোক আপনার গন্তব্য

হাম্পি। উত্তর কর্নাটকের একটি গ্রাম। ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে পাবেন অপরূপা প্রকৃতিকে!

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৯
Share: Save:
০১ ২০
আপনি ভ্রমণে বেরিয়ে প্রাকৃতিক শোভার মতোই ঐতিহাসিক স্থান, স্মারক দেখতে ভালোবাসেন?  সে ক্ষেত্রে এক কালের বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অধুনালুপ্ত রাজধানী বিজয়নগরের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ স্বচক্ষে দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে হাম্পি।

আপনি ভ্রমণে বেরিয়ে প্রাকৃতিক শোভার মতোই ঐতিহাসিক স্থান, স্মারক দেখতে ভালোবাসেন? সে ক্ষেত্রে এক কালের বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অধুনালুপ্ত রাজধানী বিজয়নগরের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ স্বচক্ষে দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে হাম্পি।

০২ ২০
হাম্পি হল উত্তর কর্নাটকের বেলারি জেলার এক গ্রাম। এর খুব কাছাকাছি পরিচিত শহর হজপেট।

হাম্পি হল উত্তর কর্নাটকের বেলারি জেলার এক গ্রাম। এর খুব কাছাকাছি পরিচিত শহর হজপেট।

০৩ ২০
হাম্পি জুড়ে দ্রাবিড় স্থাপত্য, মন্দির ও প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে।   চোখজুড়নো এই সব স্মারক সংগ্রহশালার জন্য হাম্পি গ্রামটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে স্বীকৃত।

হাম্পি জুড়ে দ্রাবিড় স্থাপত্য, মন্দির ও প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে। চোখজুড়নো এই সব স্মারক সংগ্রহশালার জন্য হাম্পি গ্রামটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে স্বীকৃত।

০৪ ২০
বিজয়নগর সাম্রাজ্য ভারতীয় ইতিহাসে খুব পরিচিত।   এই রাজবংশের প্রধান শাসক ছিলেন কৃষ্ণদেবরায়।

বিজয়নগর সাম্রাজ্য ভারতীয় ইতিহাসে খুব পরিচিত। এই রাজবংশের প্রধান শাসক ছিলেন কৃষ্ণদেবরায়।

০৫ ২০
কথিত, বিজয়নগর সাম্রাজ্যের প্রধান ঈশ্বর হলেন ভগবান শিব বা, বিরুপাক্ষেশ্বর এবং ভুবনেশ্বরী বা পার্বতী।  হাম্পির বিজয়নগর সাম্রাজ্যের মন্দিরগুলি আংশিক ও সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ধ্বংস হওয়া মন্দিরকে বলা হয়ে থাকে মূর্তিবিহীন স্মৃতিসৌধ।

কথিত, বিজয়নগর সাম্রাজ্যের প্রধান ঈশ্বর হলেন ভগবান শিব বা, বিরুপাক্ষেশ্বর এবং ভুবনেশ্বরী বা পার্বতী। হাম্পির বিজয়নগর সাম্রাজ্যের মন্দিরগুলি আংশিক ও সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ধ্বংস হওয়া মন্দিরকে বলা হয়ে থাকে মূর্তিবিহীন স্মৃতিসৌধ।

০৬ ২০
১. বিরুপাক্ষেশ্বর মন্দির -   এই মন্দির ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। বলা হয়ে থাকে, হাম্পির এক মাত্র এই মন্দিরটি সপ্তম শতাব্দীতে তার সূচনা থেকে অবিচ্ছিন্নভাবে রয়েছে। এটি ভারতের প্রাচীনতম কার্যকরী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম৷

১. বিরুপাক্ষেশ্বর মন্দির - এই মন্দির ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। বলা হয়ে থাকে, হাম্পির এক মাত্র এই মন্দিরটি সপ্তম শতাব্দীতে তার সূচনা থেকে অবিচ্ছিন্নভাবে রয়েছে। এটি ভারতের প্রাচীনতম কার্যকরী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম৷

০৭ ২০
বিরুপাক্ষেশ্বরের গর্ভগৃহের বাঁদিকে আছে ভুবনেশ্বরী মন্দির।  গর্ভগৃহের পিছনে বিরুপাক্ষেশ্বর গোপুরম-এর উলটানো রূপ রয়েছে।  বিরূপাক্ষেশ্বর মন্দিরে লক্ষ্মী নামে একটি হাতি আছে।

বিরুপাক্ষেশ্বরের গর্ভগৃহের বাঁদিকে আছে ভুবনেশ্বরী মন্দির। গর্ভগৃহের পিছনে বিরুপাক্ষেশ্বর গোপুরম-এর উলটানো রূপ রয়েছে। বিরূপাক্ষেশ্বর মন্দিরে লক্ষ্মী নামে একটি হাতি আছে।

০৮ ২০
এটি সকাল সাড়ে আটটায় মন্দিরের পাশে তুঙ্গাভদ্রা নদীতে স্নান সেরে বিরূপাক্ষেশ্বর মন্দির প্রদর্শন করে। তার পর ভক্তদের স্বাগত জানাতে দাঁড়ায়।

এটি সকাল সাড়ে আটটায় মন্দিরের পাশে তুঙ্গাভদ্রা নদীতে স্নান সেরে বিরূপাক্ষেশ্বর মন্দির প্রদর্শন করে। তার পর ভক্তদের স্বাগত জানাতে দাঁড়ায়।

০৯ ২০
বিরুপাক্ষেশ্বর মন্দিরের আশেপাশের এলাকায় রয়েছে বাদাবলিঙ্গ নামে শিবলিঙ্গ, মনোলিথিক নন্দী নামক ষাঁড়, গণপতি সৌধ, সাসভে কালু গণপতি বা হস্তী, কদলেকালু গণপতি, নরসিংহ শাস্ত্র, বীরবদ্র মন্দির।   আর আছে বিরূপাক্ষেশ্বর মন্দিরের পাশে বর্তমানের হাম্পি বাজার।

বিরুপাক্ষেশ্বর মন্দিরের আশেপাশের এলাকায় রয়েছে বাদাবলিঙ্গ নামে শিবলিঙ্গ, মনোলিথিক নন্দী নামক ষাঁড়, গণপতি সৌধ, সাসভে কালু গণপতি বা হস্তী, কদলেকালু গণপতি, নরসিংহ শাস্ত্র, বীরবদ্র মন্দির। আর আছে বিরূপাক্ষেশ্বর মন্দিরের পাশে বর্তমানের হাম্পি বাজার।

১০ ২০
২. বিজয়া বিট্টলা স্মৃতিস্তম্ভ -  মূর্তি বিহীন এক মন্দির এবং এখানে কোনও পুরোহিত নেই। মন্দিরের ভিতরে কোনও বিগ্রহ না থাকায় একে মন্দির নয়, স্মৃতিস্তম্ভ বলা হয়।

২. বিজয়া বিট্টলা স্মৃতিস্তম্ভ - মূর্তি বিহীন এক মন্দির এবং এখানে কোনও পুরোহিত নেই। মন্দিরের ভিতরে কোনও বিগ্রহ না থাকায় একে মন্দির নয়, স্মৃতিস্তম্ভ বলা হয়।

১১ ২০
এটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। পাথরের রথ এবং মিউজিক স্তম্ভ দেখতে পাওয়া যায় এখানে।

এটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। পাথরের রথ এবং মিউজিক স্তম্ভ দেখতে পাওয়া যায় এখানে।

১২ ২০
৩. হাজারা রাম স্মৃতিসৌধ -   এটিও মূর্তি ছাড়া মন্দির। রামায়ণ সম্পর্কে মন্দিরের দেওয়ালে ১০০০ শিল্পকলা আছে।

৩. হাজারা রাম স্মৃতিসৌধ - এটিও মূর্তি ছাড়া মন্দির। রামায়ণ সম্পর্কে মন্দিরের দেওয়ালে ১০০০ শিল্পকলা আছে।

১৩ ২০
৪. রানির স্নানাগার -   এই স্নানাগার রাজা এবং তাঁর স্ত্রীদের জন্য রাজকীয় স্নানপর্বের বিলাসবহুল জীবনধারা প্রদর্শন করে।   জটিল নকশা এবং গম্বুজ আকৃতির অসামান্য কারুকাজ করা ছাদ, সুন্দরভাবে ডিজাইন করা বারান্দা, ছোট জানালা এবং নীল আকাশের নীচে আয়তক্ষেত্রাকার 'পুল' রানির স্নানের সৌন্দর্য-বিলাসিতাকে আরও নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তোলে।  এই স্থানের ভেতরে হাম্পির হস্তশিল্প এবং ভাস্কর্যগুলো বিক্রি হয়।

৪. রানির স্নানাগার - এই স্নানাগার রাজা এবং তাঁর স্ত্রীদের জন্য রাজকীয় স্নানপর্বের বিলাসবহুল জীবনধারা প্রদর্শন করে। জটিল নকশা এবং গম্বুজ আকৃতির অসামান্য কারুকাজ করা ছাদ, সুন্দরভাবে ডিজাইন করা বারান্দা, ছোট জানালা এবং নীল আকাশের নীচে আয়তক্ষেত্রাকার 'পুল' রানির স্নানের সৌন্দর্য-বিলাসিতাকে আরও নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তোলে। এই স্থানের ভেতরে হাম্পির হস্তশিল্প এবং ভাস্কর্যগুলো বিক্রি হয়।

১৪ ২০
৫. লোটাস মহল -   এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ স্থাপনা। হাম্পিতে দ্রষ্টব্য সবচেয়ে সুন্দর স্থানগুলোর মধ্যে এটি একটি।   লোটাস মহলে পদ্ম-আকৃতির একটি কাঠামো রয়েছে এবং সেটি তার চমৎকার ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্যের জন্য ব্যাপক বিখ্যাত।

৫. লোটাস মহল - এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ স্থাপনা। হাম্পিতে দ্রষ্টব্য সবচেয়ে সুন্দর স্থানগুলোর মধ্যে এটি একটি। লোটাস মহলে পদ্ম-আকৃতির একটি কাঠামো রয়েছে এবং সেটি তার চমৎকার ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্যের জন্য ব্যাপক বিখ্যাত।

১৫ ২০
লোটাস মহলের কেন্দ্রীয় গম্বুজ দেখতে পদ্মের কুঁড়ি এবং পাপড়ির মতো।   এই মহলের খিলানযুক্ত জানালাগুলিকে ধরে রাখার জন্য ২৪টি স্তম্ভ রয়েছে।

লোটাস মহলের কেন্দ্রীয় গম্বুজ দেখতে পদ্মের কুঁড়ি এবং পাপড়ির মতো। এই মহলের খিলানযুক্ত জানালাগুলিকে ধরে রাখার জন্য ২৪টি স্তম্ভ রয়েছে।

১৬ ২০
৬. হেমাকুটা পাহাড়ি মন্দির -  হেমাকুটা পাহাড় একট বিস্তৃত অঞ্চল এবং এখানে হাম্পির ধ্বংসাবশেষ, মন্দির এবং খিলানের দর্শনীয় দৃশ্য দেখা যায়।   পাহাড়ের চুড়ো থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সৌন্দর্য দেখতে শ্বাসরুদ্ধকর লাগে।

৬. হেমাকুটা পাহাড়ি মন্দির - হেমাকুটা পাহাড় একট বিস্তৃত অঞ্চল এবং এখানে হাম্পির ধ্বংসাবশেষ, মন্দির এবং খিলানের দর্শনীয় দৃশ্য দেখা যায়। পাহাড়ের চুড়ো থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সৌন্দর্য দেখতে শ্বাসরুদ্ধকর লাগে।

১৭ ২০
গোটা পাহাড়টি অনেক হিন্দু মন্দির, প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষের এক মনোরম স্থান।   হেমাকুটা পার্বত্য মন্দির পরিদর্শন ছাড়া হাম্পি ভ্রমণ অসম্পূর্ণ!

গোটা পাহাড়টি অনেক হিন্দু মন্দির, প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষের এক মনোরম স্থান। হেমাকুটা পার্বত্য মন্দির পরিদর্শন ছাড়া হাম্পি ভ্রমণ অসম্পূর্ণ!

১৮ ২০
৭. অচ্যুতরায় স্মৃতিসৌধ -   ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত ভূগর্ভস্থ স্মৃতিস্তম্ভ। ভগবান শিবের ভূগর্ভস্থ মন্দির। বর্তমানে শিবলিঙ্গের অনুপস্থিতির কারণে একে বলা হয় স্মৃতিসৌধ।

৭. অচ্যুতরায় স্মৃতিসৌধ - ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত ভূগর্ভস্থ স্মৃতিস্তম্ভ। ভগবান শিবের ভূগর্ভস্থ মন্দির। বর্তমানে শিবলিঙ্গের অনুপস্থিতির কারণে একে বলা হয় স্মৃতিসৌধ।

১৯ ২০
৮. প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর -   চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর ভেতর যে সমস্ত পর্যটক ভারতে আসেন, তাঁদের ভূয়সী প্রশংসিত বিজয়নগর সাম্রাজ্যের নানান স্মারকের সম্ভার রয়েছে এখানে।

৮. প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর - চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর ভেতর যে সমস্ত পর্যটক ভারতে আসেন, তাঁদের ভূয়সী প্রশংসিত বিজয়নগর সাম্রাজ্যের নানান স্মারকের সম্ভার রয়েছে এখানে।

২০ ২০
কীভাবে যাবেন - কলকাতা থেকে ট্রেনে বা বিমানে বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে গাড়িতে যেতে হয় হাম্পি। সড়কপথে দূরত্ব প্রায় তিনশো কিলোমিটার। সময় লাগে ঘন্টা ছয়েক।  থাকার জায়গা - হাম্পিতে অনেক ধরনের ছোট-বড় হোটেল ছাড়াও গেস্ট হাউস আছে কয়েকটা।

কীভাবে যাবেন - কলকাতা থেকে ট্রেনে বা বিমানে বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে গাড়িতে যেতে হয় হাম্পি। সড়কপথে দূরত্ব প্রায় তিনশো কিলোমিটার। সময় লাগে ঘন্টা ছয়েক। থাকার জায়গা - হাম্পিতে অনেক ধরনের ছোট-বড় হোটেল ছাড়াও গেস্ট হাউস আছে কয়েকটা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy