সপ্তম দিন - সকালে একটু ভারী ব্রেকফাস্ট সেরে যাত্রা শুরু, গন্তব্য তারবোচ। সেখান থেকে যাওয়া যমদুয়ার। কোরা এলাকা সফরের এটি প্রথম পয়েন্ট। চাইলে এখান থেকেও ট্রেক করতে পারেন, দিরাপুক ১২ কিমি রাস্তা, প্রায় ৫-৬ ঘণ্টার। এখানেই উত্তরমুখী কৈলাস পর্বতের চরণ ছুঁতে পারবেন। রাত্রিবাস দিরাপুকে। অনেকেই কৈলাস পরিক্রমা করেন। কিন্তু খুব কম লোক জানেন এবং যান এই চরণপর্বে। এটি মানস কৈলাস পরিক্রমার একটি সংযুক্ত অংশ, যা অনেকে এড়িয়ে যান। তবে যাঁরা কৈলাস পরিক্রমা করবেন না, তাঁরা ফিরে যেতে পারেন দারচেনে, এবং দলের অন্য সদস্যদের অপেক্ষা করে বিশ্রাম নিতে পারেন।
কিছু জরুরি পরামর্শ - ১) কাঠমান্ডু ছাড়া বেশির ভাগ জায়গাতেই অস্থায়ী টেন্ট লজ, বা সাধারণ মানের হোটেল। মানস কৈলাস-সহ গোটা পরিক্রমার পথে যে সব জায়গায় রাত্রিবাসের ব্যবস্থা আছে, সেখানে থ্রি স্টার হোটেল পাবেন, এমনটা আশা করবেন না একেবারেই। ভাল করে হাতে অতিরিক্ত সময় নিয়ে থাকার ব্যবস্থার খোঁজ নিয়ে তবেই যাওয়া ভাল। ২) মানস কৈলাস সফর বেশ ব্যয় সাপেক্ষ। বাড়তি খরচ মানেই আরামের যাবতীয় আয়োজন আছে, এমন ভাবনা রাখবেন না। স্থানীয়দের সঙ্গে এমন কোনও আচরণ করবেন না, যাতে তাঁরা বিরক্ত হন। ৩) কেন্দ্রীয় সরকার কৈলাস ভ্রমণের আয়োজন করে। পাশাপাশি নেপালেও বেশ কিছু ট্যুর এজেন্সি আছে। তাদের সঙ্গেও কথাবার্তা চালিয়ে ট্যুর পরিকল্পনা সারতে পারেন।
৪) মে, জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বরে এই ট্যুরের আয়োজন করা হয়। হাতে অনেকটা সময় নিয়ে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি জরুরি। ৫) মানস কৈলাস যাত্রা কষ্টকর ও দুর্গম পথ, কিছু অংশ ট্রেক করতে হয়। তাই যাওয়ার বেশ আগে থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যোগাভ্যাস ট্রেনারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন। এ ছাড়াও, নেপালের এজেন্সি মারফত এই ট্যুরে গেলে, সঙ্গে দক্ষ গাইড থাকে। তাঁদের উপরে ভরসা রাখুন। ৬) কলকাতা থেকে কোনও এজেন্সি মারফত গেলে দক্ষ গাইড সঙ্গে থাকছে কি না দেখে নিন। কারণ, নেপালের ট্যুর এজেন্সির গাইড সাধারণত সর্বোচ্চ ৫০ জনকে নিয়ে যায়। সেখানে আপনি বা আপনার ছোট দলকে আলাদা ভাবে যত্ন দেওয়ার সুযোগ কম।
৭) পরিকল্পিত ট্যুর প্ল্যানকে নিজের ইচ্ছে মতো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা বা গ্রুপের অন্য সদস্যদের প্রভাবিত করলে অহেতুক সমস্যা তৈরি হবে। দলের কেউ এমন করছে দেখলেও তাঁকে নিরস্ত করুন। তা হলে? মানসিক প্রস্তুতি শুরু করে দিন! এই সফরে যাওয়ার বয়সসীমা ৭০ বছর। তার কমবয়সী এবং শারীরিক সক্ষমতা যথাযথ থাকলে বেরিয়ে পড়লেই হল! এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy