Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Jhargram Kanak Durga temple

অষ্টমীর ভোগ রাঁধেন মা স্বয়ং, হয় হাঁসের ডিমের ভোগ, ৫০০ বছরের পুজোয় গভীর জঙ্গলে হয় বলি

এখানে দুর্গা অশ্বারোহিণী, চতুর্ভুজা। অত্যন্ত জাগ্রত এই দেবীর কাছে গভীর জঙ্গলে হয় বলি। দুর্গাপুজোর চার দিন বিশেষ রীতি-আচার মেনে চলে পুজো।

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫৩
Share: Save:
০১ ০৪
সারা বছরই দেবীর আরাধনা জারি থাকে এখানে। এই দুর্গা অশ্বারোহিণী, চতুর্ভুজা । অত্যন্ত জাগ্রত এই দেবীর কাছে বহু মানুষ মানত পূর্ণ হলে পুজো দিয়ে যান। তবে দুর্গাপুজোর চার দিন বিশেষ রীতি আচার মেনে পুজো চলে ঝাড়গ্রামের কনক দুর্গা মন্দিরে। এই চার দিন দেবীকে হাঁসের ডিম, মাছ পোড়া, শাক ভাজা ও পান্তা ভাতের ভোগ নিবেদন করা হয়।

সারা বছরই দেবীর আরাধনা জারি থাকে এখানে। এই দুর্গা অশ্বারোহিণী, চতুর্ভুজা । অত্যন্ত জাগ্রত এই দেবীর কাছে বহু মানুষ মানত পূর্ণ হলে পুজো দিয়ে যান। তবে দুর্গাপুজোর চার দিন বিশেষ রীতি আচার মেনে পুজো চলে ঝাড়গ্রামের কনক দুর্গা মন্দিরে। এই চার দিন দেবীকে হাঁসের ডিম, মাছ পোড়া, শাক ভাজা ও পান্তা ভাতের ভোগ নিবেদন করা হয়।

০২ ০৪
অষ্টমীর রাতে মন্দিরে পাতকুয়োর সামনে পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। নবমীর অন্নভোগের আগে বলির মাংস নতুন মাটির হাড়িতে সেদ্ধ করে রাখা হয়। অষ্টমী পুজোর পর গভীর রাতে জঙ্গলের ভেতরে বলির আয়োজন করা হয়। তিথি-নক্ষত্র মেনেই বলি দেওয়া হয়। সেখানে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকে না।

অষ্টমীর রাতে মন্দিরে পাতকুয়োর সামনে পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। নবমীর অন্নভোগের আগে বলির মাংস নতুন মাটির হাড়িতে সেদ্ধ করে রাখা হয়। অষ্টমী পুজোর পর গভীর রাতে জঙ্গলের ভেতরে বলির আয়োজন করা হয়। তিথি-নক্ষত্র মেনেই বলি দেওয়া হয়। সেখানে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকে না।

০৩ ০৪
চিল্কিগড়ে মত্তগজ রাজবংশের গোপীনাথ সিং এই পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। চিল্কিগড়ের প্রায় ভেঙে পড়া যে প্রাচীন মন্দির রয়েছে তার পশ্চিমপ্রান্তের দালানে এক সময় নরবলি হত। সেই রক্তে পুজো হত কনকদূর্গার। সময়ের সঙ্গে নরবলি বন্ধ হয়ে চালু হয়েছে মোষবলির প্রথা।

চিল্কিগড়ে মত্তগজ রাজবংশের গোপীনাথ সিং এই পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। চিল্কিগড়ের প্রায় ভেঙে পড়া যে প্রাচীন মন্দির রয়েছে তার পশ্চিমপ্রান্তের দালানে এক সময় নরবলি হত। সেই রক্তে পুজো হত কনকদূর্গার। সময়ের সঙ্গে নরবলি বন্ধ হয়ে চালু হয়েছে মোষবলির প্রথা।

০৪ ০৪
মহাষ্টমীতে হাঁসের ডিমের ভোগ দেওয়া হয়। নতুন মাটির হাঁড়িতে জল ও অন্যান্য সামগ্রী ভরে শালপাতা দিয়ে হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে উনুনে চাপিয়ে দেওয়া হয়। উনুনে তিনটি কাঠে আগুন জ্বেলে ঘরের দরজা তালাচাবি দিয়ে বন্ধ করা হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস দেবী স্বয়ং এসে এই ভোগ রান্না করেন।

মহাষ্টমীতে হাঁসের ডিমের ভোগ দেওয়া হয়। নতুন মাটির হাঁড়িতে জল ও অন্যান্য সামগ্রী ভরে শালপাতা দিয়ে হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে উনুনে চাপিয়ে দেওয়া হয়। উনুনে তিনটি কাঠে আগুন জ্বেলে ঘরের দরজা তালাচাবি দিয়ে বন্ধ করা হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস দেবী স্বয়ং এসে এই ভোগ রান্না করেন।

Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE