অসলো যাওয়ার জন্য জাহাজ ছাড়ে ডেনমার্কের ওস্তাপোর্ট থেকে। যাঁরা সুইডেন থেকে যাবেন, তাঁদের প্রথমে আসতে হবে ওস্তাপোর্ট স্টেশনে। সেখান থেকে দেড় কিলোমিটার হেঁটে ডিএফডিএস টার্মিনাল। দেখা যাবে নীল জলরাশির বুকে প্রকাণ্ড একটি জাহাজ। বিকেল চারটে নাগাদ এই জাহাজ ছাড়ে। যদি ফেরার টিকিট পরদিনই থাকে, তা হলে অসলো পৌঁছে জাহাজের কেবিনেই ব্যাগপত্তর রেখে শহরটা ঘুরে নেওয়া যেতে পারে।
আনুমানিক ১০৪০ খ্রীষ্টাব্দে অসলো শহরের পত্তন ঘটে। তখন ভাইকিং যুগের শেষ প্রায়। আন্দাজ করা যায়, বন্দর শহরের গুরুত্ব ভাইকিংদের কাছে ছিল অপরিসীম। এই অঞ্চল ছিল মূলত ভিকেনের অধীনে। ধীরে ধীরে নরওয়ের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে এই বন্দর নগরী। প্রথমে অসলো ছিল ডেনমার্কের অধীনে। তার পরে সুইডিশরা তাদের অধিকার জমায়। অবশেষে বিংশ শতাব্দীর প্রাক্কালে নরওয়ে স্বাধীন হওয়ার পরে অসলোর অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হতে থাকে রকেট গতিতে।
যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এই বৃদ্ধিতে ভাটা পরে সাময়িক ভাবে। আবার ২০০০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই বৃদ্ধি পৌঁছয় চরমে। পৃথিবীর মানচিত্রের একটি প্রথম শ্রেণির শহর অসলোর চার দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভাইকিং যুগের নানা ইতিহাস। যত্ন করে সাজানো এই শহরের মানুষরা কিন্তু খুব সাহসী। হতেই হবে। ভাইকিংদের রক্ত বইছে যে এদের ধমনীতে!
অসলোতে দিন শুরু করা যেতে পারে অকেসুস দুর্গ দেখে। নরওয়ের বহু ইতিহাস বহু ঘটনার সাক্ষী এই দুর্গ। তার পরে শুরু করা যায় পায়ে পায়ে সবুজ অভিযান। অসলো শহরের ফুসফুস হল বহু সংখ্যায় ছড়িয়ে থাকা পার্কগুলি। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফ্রগনে পার্ক, তয়েন পার্ক, ভিগল্যান্ড পার্ক ইত্যাদি। বিশেষ করে ফ্রগনে পার্কের সৌন্দর্য বর্ণনাতীত। সারা বছর ধরেই মানুষের ঢল নামে এই পার্কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy