আবার ঐতিহাসিকগত ভাবে দেখা যায়, এখানকার জলভূমিতে রাজাদের মধ্যে যুদ্ধে ছোট ছোট নৌকা ব্যবহার হত। যে যুদ্ধ-নৌকাদের বলা হত ‘চুন্দমভালম’ ও ‘কেত্তুভালম’। ১০ নদীর জলে পুষ্ট ভেম্বানাদ হ্রদ সে যুগে ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক জায়গা ছিল। যার জন্য রাজা এই কুমারাকোমে সেনাবাহিনী রাখেন। কোত্তাথোড়ুর বা আজকের কোট্টায়ামের তৎকালীন প্রবেশপথে একটা দুর্গও গড়েছিলেন।
হাউসবোটগুলি বাইরে থেকে দেখতে ময়ূরপঙ্খী নাওয়ের মতো। ভেতরটা তাক লেগে যাওয়ার মতো! সাধারণ হাউসবোট-ই যেন জলে ভাসমান এক বাড়ি! আর বিলাসবহুল হাউসবোটগুলির চমকের তো শেষই নেই যেন! ভেতরটা পুরো শীতাতপ। দুটো শোবার ঘর, একটা বসার ঘর, রান্নাঘর, বাথরুম, টিভি, রেফ্রিজেরেটর, ইন্টারনেট। গোটাটা কাঁচের জানালায় ঘেরা, যাতে হাউসবোটের যেকোনও জায়গা থেকে বাইরের খাঁড়ির অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সবমিলিয়ে ভরপুর বিনোদন।
কুমারাকোমের আরেক সমান বিখ্যাত হল, ১৪ একর বিস্তৃত পাখির অভয়ারণ্য। ১৮০ প্রজাতির বিভিন্ন পরিযায়ী পাখির মেলা এই অভয়ারণ্যে। সাইবেরিয়া থেকেও পরিযায়ী পাখি আসে কুমারাকোম পাখি অভয়ারণ্যে। এই সুবিশাল জায়গা আবিষ্কার করেছিলেন আলফ্রেড জর্জ হেনরি বেকার নামে এক ব্রিটিশ আধিকারিক। যার জন্য এই স্থানকে 'বেকার'স এস্টেট' বলা হয়। পাখিরালয়ের পাশাপাশি ভেম্বানাদ হ্রদে অসংখ্য সামুদ্রিক ও মিষ্টি জলের মাছ আছে।
কুমারাকোমের আবহাওয়া মাঝারি হওয়ায় সারা বছরই এখানে পর্যটকেরা আসে। তবে এখানে বছরে দু’বার বর্ষাকাল। একবার দক্ষিণ-পশ্চিম, অন্য বার উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর জেরে। এবং এহেন জলবায়ুতে পর্যটন, মাছ ধরা কুমারাকোমের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। তার মধ্যেও নৌকাবিহার এবং ভেম্বানাদ হ্রদের পিছনের জলের চারপাশে হ্রদের তীরে সারিবদ্ধ বেশ কিছু বিলাসবহুল ও বাজেটের রিসর্ট কুমারাকোমের প্রধান আয়ের উৎস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy