রানিক্ষেত: আলমোড়া জেলায় অবস্থিত এই ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের শৈলশহরের স্থানীয় নাম রানির দেশ। আপেল বাগান, পাইন গাছের সারি, ভ্যালু ড্যাম, গল্ফ গ্রাউন্ড, ঝুলা দেবী রামমন্দির- এ সব এখানকার দ্রষ্টব্যস্থান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুমায়ুন রেজিমেন্টের সদর দফতর রানিক্ষেতে। নৈনিতাল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে রানিক্ষেত। সড়কপথে যাওয়া ভাল।
হরিদ্বার: এই শৈল শহরের নামের অর্থ, প্রভূর প্রবেশদ্বার। হরিদ্বার কুম্ভ মেলার জন্য পৃথিবী বিখ্যাত। হর কি পাউরি ঘাটে সন্ধেবেলায় গঙ্গা আরতি দেখার স্বাদ এক অনির্বচনীয় অভিজ্ঞতা। শোনা যায়, রাজা বিক্রমাদিত্য ভাইয়ের স্মরণে এই ঘাট নির্মাণ করিয়েছিলেন। ব্রহ্মকুন্ডে অত্যাশ্চর্য আরতি এক ঐশ্বরিক দৃশ্য। এছাড়াও ঘুরে দেখার মতো চিল্লা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, রাজাজি জাতীয় উদ্যান। সরাসরি ট্রেন বা বিমান যোগাযোগ না থাকায় হরিদ্বার সড়কপথে যাওয়া ভাল।
দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডের রাজধানী শহর। অথচ নিরিবিলি, শান্ত, সমাধিস্থ, সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিলেমিশে এমন এক পবিত্র আবহ যে, মানুষ মাত্র এখানে মানসিক ভাবে শান্তি অনুভব করে। আবার পাশাপাশি ঘুরে দেখার মতো জায়গা প্রচুর। ‘শারধা’, যার অর্থ হাজার গুণ বসন্ততার জলপ্রপাতে সালফারের মতো দুষ্প্রাপ্য আকরিক সব সময় মেলে।
সহস্ত্রধারার কাছে রোপওয়ে চড়ার আনন্দ, রবার'স কেভ, মালসিডিয়া পার্ক, রাজাজি ন্যাশনাল পার্ক, তপোবন মন্দির— গুহা, জলপ্রপাত, দেবত্বস্থান, সব মনকে ভালো করে দেয়। মাইন্ড্রোলিং মঠ অন্যতম সেরা বৌদ্ধ নিদর্শন, এশিয়ার মধ্যেই সবচেয়ে উঁচু স্তুপ। দেরাদুন জশন স্টেশন ভারতের প্রায় সব বড় শহরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। নিকটতম বিমানবন্দর ২০ কিলোমিটার দূরের জলিগ্রান্ট।
ঋষিকেশ: একই সঙ্গে আধ্যাত্মিক বিশ্রাম ও স্বাস্থ্য ফেরানোর শৈলশহর এবং রোমাঞ্চকর দুঃসাহসিক খেলার জায়গা ঋষিকেশ। রিভার রাফ্টিং, বাঞ্জিজাম্পিং, রক ক্লাইম্বিংয়ের জন্য ভারত বিখ্যাত ঋষিকেশ। আবার যোগ ও ধ্যানের বিশ্ব রাজধানী বলা হয় ঋষিকেশকে। যমজ সেতু রাম ও লক্ষণ সেতু গঙ্গার ৭৫০ ফুট উপর থেকে ঝুলছে! পরমার্থ নিকেতনে গঙ্গা আরতি এক অপার্থিব সৌন্দর্য। হরিদ্বার ও দেরাদুন থেকে সড়কপথে যেতে হয়। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy