১. ডামডিম চা বাগান
ডুয়ার্সের ডামডিম চা বাগান। চারদিক সবুজ আর সবুজ। চা বাগানের চারপাশে জঙ্গলের পরিধি। গরুমারা, চাপরামারির রোমাঞ্চ। মালবাজার সাব ডিভিশনের এই বাগানের ১৫০ বছরের পুরানো সাহেবি বাংলোয় রাত কাটাতে পারেন। হিমালয়ের পাদদেশে প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য তো আছেই। ঘুরে দেখতে পারেন চা তৈরির কর্মকান্ড। ইচ্ছে হলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন লাটাগুড়ি, ঝালং,বিন্দু, সুন্তালেখোলা, রকি আইল্যান্ড। বাগডোগরা থেকে ডামডিমের মাত্র ৫৫ কিলোমিটার।
২. সিংতম টি এস্টেট
দার্জিলিং শহর থেকে ২০ কিমি দূরে দ্বিতীয় প্রাচীন চা বাগান সিংতম চা বাগান। এই বাগান শুধু চা বাগান নয়। পাহাড়ের ঢালে এই বাগানের আর এক আকর্ষণ হিমালয়। সকালের সোনা রোদ কলির মাথায় পড়ে ঠিকরে যায় হীরের দ্যুতিতে। অচেনা সুরে পাতা তোলার গুনগুন বাতাসে ভাসে চায়ের সুবাসের মতো। এই বাগান পায়ে ঘুরে দেখতে পারেন। পায়ে পায়ে পৌঁছে যান ভিউ পয়েন্টে। দার্জিলিং থেকে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন এখানে।
৩. তুমসং টি এস্টেট
দার্জিলিংয়ের আর এক চা বাগান তুমসং। দার্জিলিং সাহেবদের হাতে তৈরি। তাদের চা বাগান গুলিতে নিজেদের থাকার জন্য যে বাংলো গুলো বানিয়ে ছিল তা পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। মোটা দেওয়াল, টিনের চাল, ফায়ার প্লেস, সব মিলিয়ে একটা রাজকীয়তা। সামনের লম্বা বারান্দায় বসে বাগানের সঙ্গে প্রকৃতির সাথে প্রেমালাপ। সেই সব বাংলো কালের হাত ধরে কিছু বেঁচে আছে। এই তুমসং টি এস্টেটের বাংলো প্রায় দেড় শতাধিক বছরের প্রাচীন। সেই ঐতিহ্য ধরে রেখে আধুনিকীকরণ করে খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য। পায়ে পায়ে ঘুরে নিতে পারেন বাংলো চত্বর। মেঘ তার পরশ মাখিয়ে যাবে মাঝে মধ্যে। কখনও এই মেঘের আড়াল থেকে হঠাৎ উঁকি দেবে পাহাড়ের রানি কাঞ্চনজঙ্ঘা। কী ভাবে যে হুশ করে কেটে যাবে সময় বুঝতেই পারবেন না।
৪. সৌরেনী টি এস্টেট
মিরিকের ৭ কিমি আগে সৌরেনী। স্থানীয় মানুষের কাছে সৌরেনী মানে একশো রানী। কথায় কথায় পরিচিত হয়েছে সৌরেনী নামে। শতাব্দী প্রাচীন এই চা বাগানে সাহেবি বাংলো নেই। কিন্তু থাকার জন্য সুন্দর রির্সট আছে। পাহাড়ের গায়ে ৭০০ থেকে ১৩০০ মিটার উচ্চতায় থরে থরে সাজানো চা গাছ। রির্সটের অবস্থান পাহাড়ের উপরের দিকে। এখান থেকে মিরিক উপত্যকা দারুণ দেখতে লাগে। চোখ মেললে সূদুর নেপাল পর্যন্ত ধরা দেয় চোখে। এখানে রাত্রি বাসের সমস্ত রকম আধুনিক ব্যবস্থা থাকলেও টিভি ও ইন্টারনেট নাও পেতে পারেন। সৌরেনী থেকে ঘুরতে যেতে পারেন মিরিক, জোড়পোখড়ি, ঘুম, দার্জিলিং। এস্টেটের মধ্যে ছোট ছোট ট্রেক রুট আছে। অ্যাডভেঞ্চার চাইলে এই ট্রেক রুট গুলি তে পা ফেলতে পারেন। পায়ে পায়ে পৌঁছে যাবেন ভিউ পয়েন্টে। আকাশ পরিস্কার থাকলে চোখ জুড়ানো কাঞ্চনজঙ্ঘা। প্রকৃতির মধ্যে নির্ভেজাল কটা দিন অনায়াসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। বাগডোগরা থেকে ঘন্টা খানেক সময় লাগে সৌরেনী পৌঁছাতে। আর নিউ জলপাইগুড়ি থেকে একটু বেশি।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy