বেলেঘাটা সন্ধানী, বেলেঘাটার বুকে নাম করা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। থিম পুজোর ময়দানে খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে এই পুজো। যদিও জন্মলগ্ন থেকেই এই পুজো কিন্তু থিম পুজোয় বিশ্বাসী ছিল না। থিম পুজোর শুরু মাত্র কয়েক বছর আগেই।
সালটা ছিল ১৯৭০। যখন বেলেঘাটা সন্ধানী ক্লাবের সদস্যরা মিলে শুরু করে মাতৃ আরাধনার। ধীরে ধীরে গড়িয়েছে সময়ের চাকা। আটচল্লিশ বছর পেরিয়ে গেছে। সময়ের সঙ্গে বদল এল রীতিতেও। দীর্ঘ আটচল্লিশ বছর সাবেকি আদলে পুজো হলেও, গত ছয় বছর হল এই পুজো পা গলিয়েছে থিম পুজোর জুতোয়।
বাজেট বেশি না হলেও পুজোর আয়োজনে কিন্তু কোনও খামতি থাকে না। অল্প বাজেটেই বাজিমাত করতে ভালবাসেন ক্লাবের উদ্যোক্তরা। শুধু তাই নয়, পাড়ার পুজো আর ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে না, তা আবার হয় নাকি! প্রত্যেক বছর অষ্টমীর দিনে থাকে বসিয়ে ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা।
এ বছরের থিম ‘আমি কে’। নামের মতোই ভাবনা কিন্তু বেশ নতুন রকম। সদস্যদের দাবি, দর্শনার্থীরা নিজেদেরকে নতুন করে খুঁজে পাবেন এই মণ্ডপে।
ক্লাবের সম্পাদক সন্দীপ ঘোষের কথায়, ‘‘আমরা সন্ধানী ক্লাব নই। আমরা সন্ধানী পরিবার। আমাদের এ বছরের ভাবনা ‘আমি কে’। আসলে সমাজের নিরানব্বই শতাংশ মানুষই যা চান, তা করতে পারেন না। তাই নিয়েই আমাদের এ বছরের ভাবনা এবং মণ্ডপ সজ্জা। সমগ্র রূপদান করেছেন আশিস সাহা এবং প্রতিমা নির্মাণ করছেন সনাতন দিন্দা ।’’
কী ভাবে যাবেন: বেলেঘাটা থানার সামনেই মণ্ডপ। বেলেঘাটা থানার সামনে গেলেই দেখতে পাবেন পুজোর মণ্ডপ।
প্রতিমা শিল্পী: সনাতন দিন্দা
থিম: আমি কে
ভাবনা: আশিস সাহা
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy