ছবি: সংগৃহীত
উত্তর কলকাতার পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম তেলেঙ্গাবাগান সার্বজনীনের পুজো। ৫৯ তম বর্ষে এ বছর তাদের ভাবনা ‘পৃথিবী গদ্যময়’। ‘মানুষ বাঁচার জন্য খায়, নাকি খাওয়ার জন্য বাঁচে?’ বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ব জুড়ে বহাল বিভিন্ন দ্বিচারিতার মধ্যে হয় তো সব থেকে প্রাসঙ্গিক এটিই। যেখানে প্রতিনিয়ত জীবনের অস্তিত্ব ও ইন্ধনের পারস্পরিক যোগসূত্রের হিসাবে গরমিল লেগেই থাকে। সংখ্যার হিসাবে বলতে গেলে, ৭০০ কোটি মানুষের দুনিয়ায় দৈনিক অপচয় হয় ১০০ কোটিরও বেশী মানুষের আহারের। নানান লৌকিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে একদিকে উদ্যাপিত হয় খাবার অপচয়ের উৎসব আর তার পাশাপাশিই একদল মানুষ ভোজনের মিষ্টি ঘ্রাণ শুঁকেই অপেক্ষায় থাকে দু’মুঠো আস্বাদনের।
মানবতার কি নির্মম পরিহাস! বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে তথাকথিত আধুনিক স্মার্টনেস রক্ষা করতে গিয়ে প্লেটে অবশিষ্ট খাবার হেলায় ফেলে দেওয়ার ফলস্বরূপ আগামীতে পৃথিবী ডুবতে পারে খাদ্য সংকটে। ধর্মীয় আবেগে বশবর্তী হয়ে ভক্তরা যেমন প্রচুর পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য অবলীলায় অপব্যয় করে তেমনই এই ধর্মীয় উপাচার, উৎসব উপলক্ষেই ভোগ বিতরণে ক্ষুধা মেটে অগণিত অভুক্ত প্রাণের। তাই সিদ্ধান্ত আমাদেরই হাতে।
মায়ের সকল সন্তানই যাতে দুধে না হলেও অন্তত ভাতে থাকতে পারে। আর রাতের আকাশে যেন পূর্ণিমার চাঁদের সৌন্দর্য নির্দ্বিধায় উপভোগ্য হয়ে ওঠে। কেননা পেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে রুটি মজুত থাকলে ‘গদ্যময় পৃথিবী’তেও মানুষ খুঁজে পায় ছন্দ।
এ বছর তেলেঙ্গাবাগানের প্রতিমা ও পরিকল্পনায় রয়েছেন শিল্পী পরিমল পাল।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy