সন্তোষপুর লেকপল্লি
অজন্তা গুহার বিরল চিত্রের সাক্ষী থাকতে চান? তবে যেতে হবে সন্তোষপুর লেকপল্লিতে। সেখানেই দেখা মিলবে এক আশ্চর্য চালচিত্রের। শিল্পী অভিজিৎ ঘটক তাঁর শৈল্পিক দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন অজন্তার গুহাচিত্র। সৌজন্যে সন্তোষপুর লেকপল্লি।
এই পুজোর ৬৭তম বছরের নিবেদন ‘চালচিত্র’। শিল্পী অভিজিৎ ঘটকের মতে, ভারতের আধুনিক চিত্রকলার যে বিকাশ ঘটে, তারই চালচিত্র অজন্তা। নন্দলাল বসু, অসিতকুমার হালদার, মুকুল দে-র মতো শিল্পীদের আধুনিক চিত্রকলার পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁরা অজন্তায় গিয়ে সেখানকার ফ্রেস্কো গবেষণা করে আসেন। পরবর্তী সময় তা থেকে শিল্পচর্চার যে ব্যাপ্তি ঘটে, তারই এক ঝলক দেখা মিলবে সন্তোষপুর লেকপল্লির পুজোয়।
কিন্তু কেন এই ভাবনা?
উদ্যোক্তাদের মতে, অজন্তার শিল্প সর্বস্তরের মানুষের কথা বলে, তাদের জীবন বোধের কথা বলে। এই শিল্প শান্তির ও সাম্যের বার্তা বহন করে। তাই সন্তোষপুর লেকপল্লি অজন্তার গুহাচিত্রের মাধ্যমে বর্তমান সময়ের এই অশান্ত পরিবেশে নতুন এক সাম্যের বার্তা পৌঁছে দিতে চায় মানুষের কাছে। এ ছাড়া বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় শিল্পীদের অজন্তা-অনুপ্রাণিত কাজের মাধ্যমে শিল্পের এক স্বর্ণযুগকে ছোঁয়ার চেষ্টা করছে এই পুজো। যাতে আগামী প্রজন্ম এই শিল্প ও চেতনার সুযোগ্য ধারক ও বাহক হয়ে উঠতে পারে।
কী ভাবে যাবেন?
যাদবপুর স্টেশন থেকে পায়ে হেঁটে ৫-৬ মিনিট। মেট্রোয় গেলে কবি সুভাষ স্টেশনে নেমে লাগোয়া স্ট্যান্ড থেকে অটোয় উঠে সরাসরি সন্তোষপুর লেকপল্লি। পৌঁছতে লাগবে ৫ থেকে ৬ মিনিট। এ ছাড়া, বাইপাস অজয়নগর এবং যাদবপুর সুলেখা মোড় থেকেও সন্তোষপুর লেকপল্লি পৌঁছনো যায়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy