নদিয়ার শান্তিপুরে সূত্রাগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ে চলে মা কালীর আরাধনা, যে কালী রুপোকালী নামে পরিচিত।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
নদিয়াশেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৮
কালীপুজো, দীপাবলি শেষ। বাঙালির উৎসব কিন্তু শেষ নয়। দীপাবলির রেশ কাটতে না কাটতেই তোড়জোড় শুরু জগদ্ধাত্রী পুজোর। হুগলি, মেদিনীপুর, নদিয়া থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রত্যেক জেলাতেই দেবীর আরাধনা চলে।
০২০৮
এ রাজ্যে কিছু জগদ্ধাত্রী পুজো আছে, যেগুলি বাংলা তথা ভারতবর্ষ জুড়ে বেশ জনপ্রিয়। শুধু ক্লাবের থিমের পুজো নয়, কিছু শতাব্দীপ্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজোও রয়েছে সেই তালিকায়, যেগুলি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে ভক্তদের মনে।
০৩০৮
অন্য দিকে, নদিয়ার শান্তিপুরে সূত্রাগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ে চলে মা কালীর আরাধনা, যে কালী রুপোকালী নামে পরিচিত।
০৪০৮
এখানে দেবী কালীকেই জগদ্ধাত্রী রূপে আরাধনা করা হয়। দীপাবলি পেরিয়ে এসে এ যেন এক ব্যতিক্রমী কালীপুজো।
০৫০৮
প্রত্যেক বছর জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হওয়ার ঠিক আগের মঙ্গল বা শনিবার থেকে শুরু হয় এই রুপোকালীর পুজো। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলে দেবীর আরাধনা।
০৬০৮
স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস, এই রুপোকালী খুবই জাগ্রত। তিনি ভক্তদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন। শুধু জেলার লোক বা স্থানীয়রা নন, দূরদূরান্ত থেকে এমনকি বিদেশের মাটি থেকেও দেবীর দর্শনে এই পুজোয় ছুটে যান ভক্তরা।
০৭০৮
প্রত্যেক বছর কেজি কেজি সোনা এবং রুপো দিয়ে সাজানো হয় কালীকে, যা দেখার জন্য ভক্তদের ঢল নামে। সারা রাত ধরে চলে দেবীকে গয়না পরানোর কাজ।
০৮০৮
যেহেতু প্রত্যেক বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর ঠিক আগের মঙ্গলবার বা শনিবারে এই রুপোকালীর পুজো শুরু, তাই এ বারও গত ৫ নভেম্বর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে উদযাপন। অনেক দিন ধরেই চলবে পূজার্চনা।এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।