উত্তর কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় শ্যামবাজার। পাঁচ মাথা মোড়ের কাছেই এই জয়কালী মন্দির। আনুমানিক ৪৫০ বছরেরও বেশি পুরনো।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
কথায় আছে, জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি! তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায় যখন কলকাতার বুকে অসংখ্য ছোটবড় কালীমন্দিরে বিচিত্র সব কাহিনির খোঁজ মেলে।
০২১০
এক কথায় কলকাতাকেও কালীক্ষেত্র বললে অত্যুক্তি হয় না বোধহয়। দক্ষিণেশ্বর থেকে কালীঘাট, লেক কালীবাড়ি থেকে ঠনঠনিয়া– প্রতিটি কালী মন্দিরের পিছনে আছে অসংখ্য ইতিহাস এবং অলৌকিক সব গল্প।
০৩১০
কলকাতার বুকে সে রকমই এক কালী মন্দির হল ‘জয়কালী’ মন্দির। এখানকার কিছু অবাক করা বিষয় মানুষকে আরও বেশি উন্মাদনায় টেনে নিয়ে আসে এখানে।
০৪১০
উত্তর কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় শ্যামবাজার। পাঁচ মাথা মোড়ের কাছেই এই জয়কালী মন্দির। আনুমানিক ৪৫০ বছরেরও বেশি পুরনো। শোনা যায় যশোহরের লক্ষীনারায়ণ ব্রহ্মচারী এই মন্দির স্থাপন করেছিলেন।
০৫১০
তখন এই অঞ্চল জুড়ে শুধু জঙ্গল আর শ্মশান। মন্দিরের পাশেই বয়ে যেত আদি গঙ্গা, যা আজ সময়ের স্রোতে বিলীন। এই মন্দিরের সঙ্গেই জুড়ে আছে বহু অবাক করা কাহিনি। বেশ কিছু কালী মন্দিরে আমিষ ভোগ দেওয়ার রীতি আছে বহু বছর ধরে। কোথাও মাছ, কোথাও মাংস। তারাপীঠে মাছ ভোগের সাথে কারণবারি অর্থাৎ মদও নিবেদন করা হয়।
০৬১০
কিন্তু জানেন কি, কলকাতার এই জয়কালী মন্দিরে এক বার মাকে পুজো দেওয়া হয়েছিল মুরগির ডিম দিয়ে? আর তাতেই নাকি তিনি তুষ্ট হয়েছিলেন! সাধারণত হিন্দু শাস্ত্রে মুরগির ডিমকে অশুভ বলেই মনে করা হয়। কিন্তু এই মন্দিরের মাকে ডিম দিয়ে পুজো দেওয়ার বিষয়টি সবারই আলোচ্য হয়েই দাঁড়িয়েছিল।
০৭১০
আসলে এর নেপথ্যে আছে এক কাহিনি। জনশ্রুতি বলে, বেশ কয়েক বছর আগে দুপুর বেলায় এক ডিম্ ব্যবসায়ী একটি মুরগির ডিম নিয়ে মায়ের কাছে আসেন তাঁকে ভোগ হিসাবে সেটি নিবেদন করতে।
০৮১০
মন্দির কর্তৃপক্ষ সেই ব্যবসায়ীকে বাধা দিলেও জোরপূর্বক নিজের জায়গায় অনড় থাকেন তিনি। এবং মনস্থির করেন, ব্যবসার মঙ্গলের জন্য ডিম দিয়েই পুজো দিয়ে তবে তিনি ফিরবেন। শেষে মন্দিরের বাইরে থেকেই সেই ডিম মা কালীর উদেশ্যে নিবেদন করেন ওই ব্যবসায়ী। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে থেকে এই ঘটনাকে নিছক গল্প বলেই জানানো হয়।
০৯১০
মানুষের বিশ্বাস, এই মা কালীর কাছে যা-ই মানত করা হোক, তিনি সব মনস্কামনাই পূরণ করেন। প্রত্যেক অমাবস্যায় পুজো হয় দেবীর।
১০১০
প্রত্যেকদিন দেওয়া হয় আমিষ ভোগ। সেই আমিষ ভোগই প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করা হয় ভক্তদের। মানুষের কাছে এই জয়কালীর রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য। আপনিও চাইলে ঘুরে আসতেই পারেন শ্যামবাজারের জয়কালী মন্দির থেকে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ