মায়ের নির্দেশ পেয়ে বসে রইলেন না ব্রাহ্মণ। অবশ্য মায়ের ডাক এলে কী ভাবে উপেক্ষা করতে পারা যায়! একা একাই এলেন নদীর পাড়ে। ‘জয় মা’ বলে খরস্রোতা তটিনীর জলে ডুবসাঁতার দিয়ে হাতড়ালেন চারিপাশ। সময় বাড়ে, বুকে চাপা কষ্ট উঠে আসে। আর পারছেন না তিনি? তবে কী তিনি পাবেন না? ঠিক, সেই সময়ই তলদেশে হতে দৃশ্যমান হয় এক অপূর্ব জ্যোতি! ঘন কালো শিলায় খোদিত এক অপরূপা মাতৃ মূর্তি!
তুলে আনেন সে মূর্তি। কিন্তু স্বপ্নে মা যে তাঁকে বলেছিলেন, তিনি কালী রূপে পূজিত হবেন। কিন্তু এ যে মায়ের অষ্টভুজা মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি! মোষের পৃষ্ঠে উঠে তাঁকে বধ করছেন মাতা দুর্গা। অবশ্য, সেই ভয়াবহ রণপ্রাঙ্গণে মাতা মুহুর্মুহু রূপ বদল করেছিলেন। সেখানেই তিনি মহামায়ার ব্যূহ রচনা করে দেখিয়েছিলেন, তিনিই দুর্গা, তিনি কৌশিকী, তিনি কাত্যায়নী, তিনিই গৌরী, আবার তিনিই চণ্ডিকা। তিনিই কালী এবং তিনিই কালরাত্রি!