আর কিছুদিনের অপেক্ষা, তার পরেই কালীপুজো। মা কালীর কথা যখন উঠছেই, তখন নৈহাটির বড়মা-র কথা তো আসবেই। বাংলার বিখ্যাত এবং জাগ্রত কালী বড়মা। কিন্তু জানেন কি কেন তাঁকে বড়মা ডাকা হয়?
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৪০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
আর কিছুদিনের অপেক্ষা, তার পরেই কালীপুজো। গোটা বাংলা সেজে উঠবে দীপাবলির আলোয়। পাড়ায় পাড়ায় পূজিত হবেন মা কালী।
০২১০
মা কালীর কথা যখন উঠছেই, তখন নৈহাটির বড়মা-র কথা তো আসবেই। বাংলার বিখ্যাত এবং জাগ্রত কালী বড়মা। কিন্তু জানেন কি কেন তাঁকে বড়মা ডাকা হয়?
০৩১০
আসলে নৈহাটির কালী মা আকারে এবং উচ্চতায় বিশাল, প্রায় ২১ ফুটের কাছাকাছি। সেই কারণেই তাঁকে বড়মা ডাকা হয়।
০৪১০
শতবর্ষ পুরনো এই পুজো আগে এত জনপ্রিয় ছিল না। হঠাৎ কেন এত মানুষ এই দেবীর দর্শন করতে যায় জানেন? নেপথ্যে রয়েছে এক কাহিনি। ভবেশ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি তাঁর চার বন্ধুর সঙ্গে নবদ্বীপে ভাঙা রাস দেখতে যান।
০৫১০
সেখানে বড় বড় কালী মূর্তি দেখে তিনি অবাক হন। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন নৈহাটিতে একটি বিশাল রক্ষাকালী মূর্তি গড়ে তুলবেন।
০৬১০
রাস্তার ধারে এই মূর্তি পুজো তিনি শুরু করেন। ভবেশ চক্রবর্তী এই মূর্তি স্থাপন করেছিলেন বলে এই দেবীকে ভবেশ কালীও বলা হয়।
০৭১০
প্রতি বছর লক্ষ্য লক্ষ্য ভক্ত ছুটে আসেন একবার মায়ের দর্শন পাওয়ার জন্য। এই দেবী নাকি জাগ্রত, এমনই বিশ্বাস মানুষের।
০৮১০
মায়ের সারা গা জুড়ে সোনার অলংকার দেখলে অবাক হতে হয়। সোনা বা রুপো ছাড়া অন্য কোনও অলংকার দেবীকে পরানো হয় না। তবে সব কিছুই ভক্তদের দান করা।
০৯১০
পুজোর দিন প্রায় ১০০ কেজির স্বর্ণালংকারে সাজেন দেবী। ভক্তরা দান করেন প্রচুর বেনারসি শাড়ি। শোনা যায়, পুজোর পর দুঃস্থদের মধ্যে দান করে দেওয়া হয় এই শাড়িগুলি।
১০১০
তবে বড়মার পুজো শুরু না হওয়া পর্যন্ত নৈহাটিতে অন্য কোথাও পুজো শুরু হয় না। পাঁচ দিনব্যাপী এই পুজোর গুরুত্ব তাই নৈহাটিবাসীদের কাছে অপরিসীম। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।