Know the mythology of Kankalitala where Devi Sati's waist is said to be submerged in the holy pond dgtl
Maa Kankalitala Temple
দেবী সতীর কোমর রয়েছে নিমজ্জিত অবস্থায়, জানুন কঙ্কালীতলার পৌরাণিক কাহিনী
একান্নপীঠের শেষ পীঠ হিসেবে খ্যাত কঙ্কালীতলা। কথিত, এখানে দেবী সতীর কাঁখাল বা কোমর পড়েছিল।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৩২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
শান্তিনিকেতন গিয়ে কঙ্কালীতলার দর্শন করেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। বোলপুর স্টেশন থেকে প্রায় ৭-৮ কিমি দূরে কোপাই নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দির।
০২১০
একান্নপীঠের শেষ পীঠ হিসেবে খ্যাত এই কঙ্কালীতলা। কথিত, এখানে দেবী সতীর কাঁখাল বা কোমর পড়েছিল।
০৩১০
এ ছাড়াও, কঙ্কালীতলায় দেবী ‘দেবগর্ভ’ হিসেবেও পূজিত হন। দেবীর কোনও বিগ্রহ এখানে নেই। মা কঙ্কালীর ছবিই এখানে পুজো করা হয়।
০৪১০
তবে এখানকার প্রধান আকর্ষণ মন্দিরের পাশে পাড় বাঁধানো ছোট পুকুর, যা সতীকুন্ড নামে পরিচিত।
০৫১০
পুরাণ মতে, সতীর অস্থি এখানে এসে পড়ার ফলে একটি কুণ্ডের সৃষ্টি হয়।
০৬১০
বলা হয়, এই কুণ্ডের ঈশান কোণে দেবীর কাঁখাল নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে, তাই এই কুণ্ডকে পবিত্র মনে করা হয়।
০৭১০
জনশ্রুতি রয়েছে, এই কুণ্ডের সঙ্গে তিনটি সুড়ঙ্গ পথে কাশীর মণিকর্ণিকা ঘাটের সঙ্গে যুক্ত কঙ্কালীতলার পবিত্র কুণ্ড।
০৮১০
তাই এই কুণ্ডের জল কখনও শুকায়ে না। তবে অদ্ভুতভাবে প্রতি ১৯-২০ বছর বাদে শুকিয়ে যায় এই কুণ্ডের জল।
০৯১০
ঠিক সেই সময় কোনও অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে যায় মণিকর্ণিকা ঘাটও। কিন্তু পুজোর পর রাতারাতি কুণ্ডের জল আবার ভরে যায়।
১০১০
আজও কঙ্কালীতলা তন্ত্রসাধনার পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত। কালীপুজোর সময় বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমান এই স্থানে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।