Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

kali Puja 2022

জাগ্রত এই দেবীর মন্দিরে মানত করেন মুসলিমরাও! জানুন বাংলাদেশের এই সতীপীঠের অলৌকিক কাহিনি

মনোবাঞ্ছা পূরণ হলে মন্দিরের বারান্দা থেকে জোড়া পায়রা উড়িয়ে দেওয়ার রীতি আছে।

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২২ ০০:৫৬
Share: Save:
০১ ১০
স্বামীর অপমান সহ্য করতে না পেরে যজ্ঞের আগুনেই নিজের প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন সতী। নিজের স্ত্রীর মৃত্যুতে রাগে, শোকে, অপমানে তাঁর দেহ কাঁধে নিয়েই তাণ্ডব নৃত্য শুরু করেন মহাদেব। সৃষ্টি রসাতলে যাওয়ার জোগাড়! ধ্বংসের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতেই সৃষ্টিকর্তা বিষ্ণু সুদর্শন চক্রে সতীর দেহ ছিন্নবিছিন্ন করে দেন। সেই দেহাবশেষ ৫১টি ভাগে ছড়িয়ে পড়ে নানা প্রান্তে।

স্বামীর অপমান সহ্য করতে না পেরে যজ্ঞের আগুনেই নিজের প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন সতী। নিজের স্ত্রীর মৃত্যুতে রাগে, শোকে, অপমানে তাঁর দেহ কাঁধে নিয়েই তাণ্ডব নৃত্য শুরু করেন মহাদেব। সৃষ্টি রসাতলে যাওয়ার জোগাড়! ধ্বংসের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতেই সৃষ্টিকর্তা বিষ্ণু সুদর্শন চক্রে সতীর দেহ ছিন্নবিছিন্ন করে দেন। সেই দেহাবশেষ ৫১টি ভাগে ছড়িয়ে পড়ে নানা প্রান্তে।

০২ ১০
কথিত, দেবীর দেহাবশেষ যেখানে যেখানে পড়েছিল, সেখানেই গড়ে উঠেছে এক একটি সতীপীঠ। আজও সেই সব সতী পীঠ ভীষণ জাগ্রত বলে বিশ্বাস করেন ভক্তরা। কার্ত্তিকি অমাবস্যায় তাই সে সব জায়গায় পুজো হয় মহা ধুমধামে। আর নিত্য পুজো তো আছেই।

কথিত, দেবীর দেহাবশেষ যেখানে যেখানে পড়েছিল, সেখানেই গড়ে উঠেছে এক একটি সতীপীঠ। আজও সেই সব সতী পীঠ ভীষণ জাগ্রত বলে বিশ্বাস করেন ভক্তরা। কার্ত্তিকি অমাবস্যায় তাই সে সব জায়গায় পুজো হয় মহা ধুমধামে। আর নিত্য পুজো তো আছেই।

০৩ ১০
সে রকম এক সতীপীঠ হলো যশোরেশ্বরী কালী মন্দির। জনশ্রুতি বলে, এখানে নাকি মায়ের করকমল পড়েছিল। পুরাণ মতে, বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে সতীর হাতের তালু পড়েছিল।

সে রকম এক সতীপীঠ হলো যশোরেশ্বরী কালী মন্দির। জনশ্রুতি বলে, এখানে নাকি মায়ের করকমল পড়েছিল। পুরাণ মতে, বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে সতীর হাতের তালু পড়েছিল।

০৪ ১০
 বলা হয়, বঙ্গদেশের হিন্দু রাজা প্রতাপাদিত্য মানুষের হাতের তালুর আকারের এক খণ্ড পাথর পেয়েছিলেন অলৌকিক ভাবে। তার পরেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন এই মন্দির। যা নির্মাণ করেছিলেন আনাড়ি নামে এক ব্রাহ্মণ। তিনিই এই মন্দিরে ১০০টি দরজা তৈরি করেন।

বলা হয়, বঙ্গদেশের হিন্দু রাজা প্রতাপাদিত্য মানুষের হাতের তালুর আকারের এক খণ্ড পাথর পেয়েছিলেন অলৌকিক ভাবে। তার পরেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন এই মন্দির। যা নির্মাণ করেছিলেন আনাড়ি নামে এক ব্রাহ্মণ। তিনিই এই মন্দিরে ১০০টি দরজা তৈরি করেন।

০৫ ১০
পরবর্তী কালে মন্দির সংস্কার করেন লক্ষ্মণ সেন ও রাজা প্রতাপাদিত্য। সেই সঙ্গে পাশেই তৈরি করা হয় নাট মন্দির। শোনা যায়, সেই সময়ে নাকি মায়ের নামে দান করা হয়েছিল প্রায় ২০০ বিঘা জমি। তবে আজ সবই হারিয়ে গিয়েছে কালের গর্ভে। দাঁড়িয়ে রয়েছে শুধু কয়েকটি স্তম্ভ।

পরবর্তী কালে মন্দির সংস্কার করেন লক্ষ্মণ সেন ও রাজা প্রতাপাদিত্য। সেই সঙ্গে পাশেই তৈরি করা হয় নাট মন্দির। শোনা যায়, সেই সময়ে নাকি মায়ের নামে দান করা হয়েছিল প্রায় ২০০ বিঘা জমি। তবে আজ সবই হারিয়ে গিয়েছে কালের গর্ভে। দাঁড়িয়ে রয়েছে শুধু কয়েকটি স্তম্ভ।

০৬ ১০
মন্দিরের বেদীতে প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহের শুধু মুখ দেখা যায়। নজরে আসে না গলার নীচের শ্রীহস্ত বা শ্রীচরণ। মূর্তির অবয়ব পুরোটাই মখমলে আবৃত।

মন্দিরের বেদীতে প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহের শুধু মুখ দেখা যায়। নজরে আসে না গলার নীচের শ্রীহস্ত বা শ্রীচরণ। মূর্তির অবয়ব পুরোটাই মখমলে আবৃত।

০৭ ১০
গলায় রক্ত জবার মালা ও নানা অলঙ্কার। মাথায় সোনার মুকুট। এই মন্দিরে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার হয় নিত্য পুজা।

গলায় রক্ত জবার মালা ও নানা অলঙ্কার। মাথায় সোনার মুকুট। এই মন্দিরে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার হয় নিত্য পুজা।

০৮ ১০
এখানে কালী পুজো হয় বেশ ধুমধাম করেই। হয় ছাগ বলি। সমাগম ঘটে হাজার হাজার ভক্তের। এই মন্দিরে দেবী খুবই জাগ্রত বলে বিশ্বাস ভক্তদের।

এখানে কালী পুজো হয় বেশ ধুমধাম করেই। হয় ছাগ বলি। সমাগম ঘটে হাজার হাজার ভক্তের। এই মন্দিরে দেবী খুবই জাগ্রত বলে বিশ্বাস ভক্তদের।

০৯ ১০
শুধু হিন্দুরা নন, এখানে মানত করতে আসেন মুসলিম ভক্তরাও। মনোবাঞ্ছা পূরণ হলে মন্দিরের বারান্দা থেকে জোড়া পায়রা উড়িয়ে দেওয়ার রীতি আছে।

শুধু হিন্দুরা নন, এখানে মানত করতে আসেন মুসলিম ভক্তরাও। মনোবাঞ্ছা পূরণ হলে মন্দিরের বারান্দা থেকে জোড়া পায়রা উড়িয়ে দেওয়ার রীতি আছে।

১০ ১০
এ হেন মন্দিরকে নিয়ে রয়েছে আরও ইতিহাস। শোনা যায়, এক বার অম্বররাজ মানসিংহ এক পুরোহিতের সাহায্যে মায়ের বিগ্রহ চুরি করে নিয়ে গিয়ে রাজস্থানের অম্বর দুর্গে তা প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু তার কয়েক দিনের মধ্যেই মায়ের রুষ্ট মূর্তি দেখে প্রতিমাকে সূক্ষ্মবতী নদীর তীরে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এ দিকে, যশোরেশ্বরী মন্দিরে মাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। এখন সেই মন্দিরে পুজো দিতে ভক্ত সমাগম ঘটে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে।

এ হেন মন্দিরকে নিয়ে রয়েছে আরও ইতিহাস। শোনা যায়, এক বার অম্বররাজ মানসিংহ এক পুরোহিতের সাহায্যে মায়ের বিগ্রহ চুরি করে নিয়ে গিয়ে রাজস্থানের অম্বর দুর্গে তা প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু তার কয়েক দিনের মধ্যেই মায়ের রুষ্ট মূর্তি দেখে প্রতিমাকে সূক্ষ্মবতী নদীর তীরে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এ দিকে, যশোরেশ্বরী মন্দিরে মাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। এখন সেই মন্দিরে পুজো দিতে ভক্ত সমাগম ঘটে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy