Kali Puja 2022: Unknown stories of knchannagar kankaleswari kali dgtl
kali Puja 2022
মানুষের শিরা-উপশিরা দেখা যায় দেবী মূর্তিতে! কঙ্কালেশ্বরীকে নিয়ে রয়েছে আরও অনেক রহস্য
মানুষের দেহের শিরা-উপশিরা, অস্থি-মজ্জা, পেশী ঠিক যে ভাবে থাকে, ঠিক সেই ভাবেই এখানে দেবীর মুর্তি কষ্টিপাথরে খোদাই করা হয়েছে।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২ ১৯:২৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
এখানে দেবীর রূপ ঠিক যেন কঙ্কালের মতো। সেই রূপের জন্যই এখানে দেবী পরিচিতা কঙ্কালেশ্বরী কালী হিসেবেই।
০২১১
মানুষের দেহের শিরা-উপশিরা, অস্থি-মজ্জা, পেশী যে ভাবে থাকে, ঠিক সেই ভাবেই এখানে দেবীর মুর্তি কষ্টিপাথরে খোদাই করা হয়েছে।
০৩১১
বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর এলাকায় মা কঙ্কালেশ্বরীর এই মন্দিরটি অধিষ্ঠিত রয়েছে। দেবী এখানে অষ্টভূজা। আর সেই কারণেই রীতি রেওয়াজ মেনে চামুণ্ডা রূপে দেবী কঙ্কালেশ্বরীর আরাধনা করা হয়।
০৪১১
দেবীর আরাধনায় বর্ধমান সহ দূর-দূরান্তের মানুষজন ভিড় জমান। কালীপুজোর দিন গোধূলী লগ্নে পুজো শেষ হওয়ার পরে ভোগ খাওয়ানো হয় ভক্তদের।
০৫১১
কথিত, এই মূর্তিটি একাদশ শতকের। অর্থাৎ প্রায় ১০০০ বছরের পুরনো।
০৬১১
কাঞ্চমালার নাম অনুসারে জায়গাটির নাম কাঞ্চননগর। তাঁর দুই ছেলে ছিলেন সত্যেশ্বের ও খর্গেশ্বর। সত্যেশ্বর ছিলেন সাধক। শোনা যায়, কোনও এক কারণে তাঁর বোনও সাধিকা হয়ে হিমালয়ে চলে যান। বোনকে ফেরত আনার জন্য সত্যেশ্বর পাড়ি দেন হিমালয়ে। সেখানেই তাঁকে দেবীরুপে দেখা দেয় বোন।
০৭১১
বর্ধমানে ফিরে এসে সেই রূপকেই কল্পনা করে মূর্তিশিল্পীকে দিয়ে মুর্তি তৈরি করান সত্যেশ্বর। যদিও পরবর্তী কালে মূর্তিটি জলে তলিয়ে যায়।
তাঁর হাতেই কাঞ্চননগরে ফাঁকা বিষ্ণু মন্দিরে দেবী মূর্তি প্রতিষ্ঠা পায়। সেই থেকেই নিয়মিত কঙ্কালেশ্বরী দেবী এখানে পূজিত হচ্ছেন।
১০১১
প্রতিমা শিল্পী কষ্টিপাথরের মূর্তিটি এমন ভাবেই তৈরি করে ছিলেন, যাতে দেহের শিরা-উপশিরা, ধমনী পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায় মূর্তিটিতে। বহু ইতিহাসবিদ মনে করেন, শিল্পীর শরীরতত্ত্ব নিয়ে বিশেষ জ্ঞান ছিল।
১১১১
আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করার মতো। দেবীর গলায় যেমন মুণ্ডমালা রয়েছে, তেমনই দেবীর এক হাতে ধরা রয়েছে মানুষের মাথা। বর্তমানে এই মন্দির ঘিরে তৈরি হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র।