দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির- বলা যায়, জনপ্রিয়তার নিরিখে দক্ষিণেশ্বরের কালী পুজো শীর্ষস্থানীয়। একটি বার এখানকার মায়ের দর্শন পেতে সারা বছরই ছুটে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। কালীপুজোর সময়ে তো কথাই নেই! দক্ষিণেশ্বরে দেবী পূজিতা হন ভবতারিণী রূপে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে, দীপান্বিতা কালীপুজোর দিনে এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখার মতো!
কালীঘাট- হিন্দুশাস্ত্র মতে, মা কালী দেবদেবীদের মধ্যে সবথেকে জাগ্রত। তাই তাঁর ভক্তদের নিষ্ঠাও তেমনই। একান্নপীঠের একপীঠ দেবতীর্থ কালীঘাটের কালী খুবই জনপ্রিয়। ভক্তেরা বলেন, এখানে দেবী খুবই জাগ্রত। দর্শনার্থীরা কখনওই নাকি খালি হাতে ফেরেন না। মন্দির সংলগ্ন একটি কুণ্ডে সতীর ডান পায়ের একটি আঙুল পাওয়া গিয়েছিল, লোকচক্ষুর অন্তরালে যা এখনও রক্ষিত আছে মন্দিরের সিন্দুকে।
টালিগঞ্জ করুণাময়ী কালী মন্দির- ইতিহাস বলে, বড়িশার নন্দদুলাল রায়চৌধুরীর কন্যা করুণাময়ীর মৃত্যুর পরে বাবাকে তিনি স্বপ্নাদেশ দেন। একটি বিশেষ কষ্টিপাথর দেখিয়ে বলেন, তিনি এই রূপে থেকে যাবেন। তাই তাঁর বাবা সেই কষ্টিপাথর থেকে কালীমূর্তি গড়ে ‘মা করুণাময়ী’ নামে পুজো করা শুরু করেন তাঁকে। বিখ্যাত এই পুজো দেখতে আজও ভিড় জমান নানা জায়গার মানুষ।
ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি- উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়িতে শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির অতি প্রাচীন ও অত্যন্ত জনপ্রিয়। জনশ্রুতি বলে, যে অতীতে ডাকাতদের আক্রমণ থেকে সতর্ক করার জন্য এই মন্দিরের ঘণ্টা বাজিয়ে ঠনঠন শব্দ করা হত। সেই থেকেই এই মন্দিরের নাম ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি। প্রতি বছর এই কালীমূর্তিকে নতুন ভাবে সাজানো হয়। তা দেখতে জমায়েত হয় অগণিত ভক্তের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy